Doctor suicide: আইপিএল নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা, শহরে উদ্ধার মহিলা চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ

শহরের এক মহিলা চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। আইপিএল ম্যাচ দেখা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসার জেরে ওই চিকিৎসক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। মৃত মহিলা চিকিৎসকের নাম দীপা হালদার (৫৭)।  রবিবার সকালে বেহালা ডায়মন্ড পার্কে তাঁর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্বামী সুশোভন হালদার পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মহিলা চিকিৎসকের এমন পদক্ষেপের জন্য স্বামী-স্ত্রীর অশান্তিকেই দায়ী করেছেন প্রতিবেশীরা।

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসকের আত্মহত্যা,সরকারি কর্মীকে মার… চরম বিতর্কের মাঝে অপসারিত ২ পুলিশ অফিসার

জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী সুশোভন হালদারও একজন চিকিৎসক। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত। তাদের একমাত্র ছেলে লন্ডনে ডাক্তারির পড়ুয়া। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মহিলার স্বামীকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ঘটনায় পুলিশের তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আইপিএল নিয়ে বচসার জেরে এমন পদক্ষেপ করেছেন ওই মহিলা চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, দীপা হালদার জোকার ইএসআই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তবে গত বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন।  গত কয়েকদিন ধরেই তিনি  মানসিক অবসাদে ছিলেন। সেই কারণে তিনি ওষুধও খাচ্ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ দেখা নিয়েই দুজনের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। তারপরে রবিবার সকালে দীপার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার রাতে খাবার ও ওষুধ কিছুই না খেয়ে নিজের ঘরে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। সকালে অনেক ডাকাডাকি করেও ঘর না খোলায় দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। 

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছর স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর তিনি সমাজসেবা করার ওপর মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি এলাকায় আয়োজিত দুর্গাপুজোর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। এলাকায় তিনি সুপরিচিত ছিলেন। এক প্রতিবেশীর কথায়, দীপা হালদার একজন আত্মবিশ্বাসী মহিলা ছিলেন। এটা মেনে নেওয়া কঠিন যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।