Sonam Wangchuk: ‘লড়াই থামবে না…’ লাদাখে ২১ দিনের অনশন ভাঙলেন সোনম ওয়াংচুক

২১ দিন পর অনশন প্রত্যাহার করলেন সোনম ওয়াংচুক। ২১ দিন ধরে তিনি কেবলমাত্র লবণ আর জলের উপর প্রাণরক্ষা করছিলেন। তবে অনশন প্রত্যাহার করলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, লড়াই চলতেই থাকবে। 

অনশন প্রত্যাহার করলেও ওয়াংচুক জানিয়েছেন,  আমি লাদাখের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য তৈরি রয়েছি। সেই লড়াই আমাদের চলতেই থাকবে। এদিকে তিনি যখন অনশন প্রত্যাহার করেন তখন অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। 

গত ৬ মার্চ তিনি এই অনশন শুরু করেছিলেন। সেদিন থেকেই অনশন শুরু করেছিলেন সোনম ওয়াংচুক। শিক্ষা সংস্কারক বলে তাঁর বেশ নাম রয়েছে। প্রকৃতি রক্ষার ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। এদিকে ৩ ইডিয়টসের একটি চরিত্র তাঁকে অনুকরণ করেই তৈরি করা হয়েছিল। 

এদিকে এর আগে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি জমে যাওয়া গ্লাসের জল দেখিয়ে লিখেছিলেন কতটা ঠান্ডার মধ্য়ে তাদের এই অনশন করতে হচ্ছে।  

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে রাজ্যের মর্যাদা ও সাংবিধানিক রক্ষাকবচের দাবিতে ৬ মার্চ থেকে লেহতে অনশন ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রখ্যাত শিক্ষা সংস্কারক সোনম ওয়াংচুকের প্রতি সংহতি জানিয়ে কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) মঙ্গলবার ২০ শে মার্চ বুধবার অর্ধদিবস সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।

শূন্যের নিচে তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে, পরিবেশবিদ সোনম ওয়াংচুক তার অনশন শুরু করেছিলেন লেহ-ভিত্তিক অ্যাপেক্স সংস্থা এবং কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) এর যৌথ প্রতিনিধিদের মধ্যে চার দফা দাবির সমর্থনে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার পরে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থা দেখা দেয়।

মঙ্গলবার সোনম ওয়াংচুক বলেন, তিনি অন্যান্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাইরের বিশ্বের কাছে ‘গ্রাউন্ড রিয়েলিটি’ তুলে ধরতে সীমান্ত মার্চের পরিকল্পনা করছেন।

আমাদের যাযাবররা দক্ষিণে বিশাল ভারতীয় শিল্প কারখানা এবং উত্তরে চিনা দখলদারিত্বের জন্য প্রধান চারণভূমি হারাচ্ছে। বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে আমরা শীঘ্রই ১০ হাজার লাদাখি রাখাল ও কৃষকদের নিয়ে বর্ডার মার্চের পরিকল্পনা করছি।

সোনম ওয়াংচুকের দাবি কী?

প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে সোনম ওয়াংচুক চারটি মূল দাবির জন্য চাপ দিচ্ছেন, যার মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলে রাজ্যের মর্যাদা এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল বাস্তবায়ন।

সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল দেশের উপজাতি এলাকার জন্য জমির সুরক্ষা এবং নামমাত্র স্বায়ত্তশাসনের গ্যারান্টি দেয়। ২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের (জে ও কে) বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বিলুপ্তির অংশ হিসাবে, নয়াদিল্লি লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (ইউটি) মর্যাদা দিয়েছে।

ওয়াংচুক লেহ ও কার্গিল জেলার জন্য পৃথক লোকসভা আসন, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং লাদাখের জন্য পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন চেয়েছেন।

তিনি আরও দাবি করেছেন যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তকমা লাদাখকে শিল্প শোষণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে যা হিমালয় অঞ্চলের ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে।