ED recovers ₹2.54 Crore Cash: ওয়াশিং মেশিনে ‘ধোয়া হচ্ছিল’ ২.৫ কোটি টাকা! কলকাতা সহ বহু জায়গায় হানা দিয়ে ধরল ইডি

আক্ষরিক অর্থে ওয়াশিং মেশিনে ভরে কালো টাকা সাদা করার ধান্দা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। সেই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে বড়সড় সাফল্য পেল ইডি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করার মামলায় বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সেই অভিযান চলাকালীনই ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় আড়াই কোটি নগদ টাকা। যা দেখে তদন্তকারীদেরও চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই অর্থপাচার মামলায় ইডির নজরে ছিল ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থা। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেই কলকাতা সহ দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, কুরুক্ষেত্রে বিস্তর তল্লাশি চালান ইডির তদন্তকারীরা। সেই তল্লাশি অভিযান চলাকালানীই ওয়াশিং মেশিনের ভিতর থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়। (আরও পড়ুন: ডিএ-র শনির ফাঁড়া কাটবে? ভোটের আবহে বকেয়া ঢুকবে সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে)

আরও পড়ুন: দেশে নয়া কারখানা চালু বিখ্যাত ফরাসি সংস্থার, লক্ষ্য ভারতে ৩২০০ কোটির ‘হাব’ তৈরি

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের সংস্থায় পণ্য পাঠানোর নাম করে ভুয়ো হিসেব দেখানো হত। সেভাবেই কালো টাকা সাদা করার এই জালিয়াতি কারবার চলছিল। এদিকে তল্লাশির সময় কোটি কোটি টাকা নগদ ছাড়াও প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করেছেন ইডি তদন্তকারীরা। এছাড়াও ৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্যবহার করে টাকা পাচারের এই জালিয়াতি কারবার চলত। এদিকে দন্তে জানা গিয়েছে, ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডের ডাইরেক্টরের দায়িত্বে রয়েছেন বিজয় কুমার শুক্লা এবং সঞ্জয় গোস্বামী নামক দুই ব্যক্তি। এদিকে শুধু ক্যাপ্রিকর্নিয়ানই নয়, এর বেশ কিছু সহযোগী সংস্থার নামও ইডির তদন্তে উঠে এসেছে। এই আবহে সেই সব সংস্থার শীর্ষ কর্তারাও এখন ইডির নজরে রয়েছেন। 

আরও পড়ুন: পাসপোর্ট বিধি ও নাগরিকত্ব আইনে ‘সংঘাত’ লাগলে কোনটি প্রাধান্য পাবে? যা বলল আদালত

জানা গিয়েছে, ক্যাপ্রিকর্নিয়ান ছাড়াও গত কয়েকদিনে তল্লাশি চালালনো হয় লক্ষ্মিতন মেরিটাইম, হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনাল, রাজনন্দিনী মেটালস লিমিটেড, স্টুয়ার্ট অ্যালয়স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ভাগ্যনগর লিমিটেড, বিনায়ক স্টিলস লিমিটেড, বশিষ্ঠ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অফিসে। বিজয় কুমার শুক্লা, সঞ্জয় গোস্বামী, সন্দীপ গর্গ এবং বিনোদ কেডিয়া এই কোম্পানিগুলির পরিচালক এবং অংশীদার। সিঙ্গাপুরের গ্যালাক্সি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস এবং হরাইজন শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের মাধ্যমে এই ওয়াশিংমেশিনে করে টাকা পাচার করা হত বলে জানা যাচ্ছে। এই দুই বিদেশি সংস্থাই অ্যান্থনি ডি সিলভা নামক এক ব্যক্তির। বেশ কিছু শেল কোম্পানির মাধ্যমে জটিল অঙ্ক কষে এই কালো টাকা সাদা করার কারবার চলত। এই আবহে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইডি এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। যাতে এসেছে বড় সাফল্য।