অজস্র যাত্রীর প্রাণ কীভাবে সংকটে ফেলতে পারলেন পাইলট! মদ্যপ অবস্থাতেই কীভাবে প্লেন ওড়ালেন তিনি! এটা ফৌজদারি অপরাধ! সবটা জানতে পেরে যে বড় পদক্ষেপ নিয়ে বসেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
জানা গিয়েছে, সুদূর ফুকেত থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়িয়ে এসেছিলেন ওই পাইলট। পৌঁছোনোর পর তাঁকে মাতাল অবস্থায় ধরে ফেলেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। বরখাস্তও করে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, দেশে আসার পর নিয়ম অনুসারে পাইলটের একটি ব্রেথলাইজার (বিএ) পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবং ওই পরীক্ষাতেই অ্যালকোহল সেবনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক রেজাল্ট এসে গিয়েছিল পাইলটের। তারপরেই বড় পদক্ষেপটি নিয়ে বসেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
- পাইলটের বিরুদ্ধে এফআইআর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া
ফুকেত-দিল্লি ফ্লাইটটি গত সপ্তাহে দিল্লিতে অবতরণের পরে, ক্রু সদস্যের ব্রেথ অ্যানালাইজার পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ‘আমাদের এই জিনিসগুলির প্রতি কোনও সহনশীলতা নেই। এবং আমরা অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। শুধুমাত্র ওই পাইলটের পরিষেবা বন্ধ করাই নয় বরং অ্যালকোহলের প্রভাবে কোনও ফ্লাইট উড়িয়ে নিয়ে আসা একটি অপরাধমূলক কাজ বলেও এফআইআর দায়ের করার পরিকল্পনাও করছি৷ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) কে ইতিমধ্যেই সবটা অবহিত করা হয়েছে।’
সূত্রের খবর, ফ্লাইট নিয়ে আসার পর এই পরবর্তী পরীক্ষাগুলি প্রায়শই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্রুদের উপর করা হয়। কারণ সাধারণত জাহাজে অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়। আর অ্যালকোহল খেয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা খুবই বিপজ্জনক একটি বিষয়। তবে, ভারতের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ক্রুদের জন্য ফ্লাইটের আগে বিএ পরীক্ষা করা হয় কারণ ভারতের মধ্যের যেকোনও ফ্লাইটে একেবারেই অ্যালকোহল পরিবেশন বা বিক্রি করা হয় না।
বিএ পরীক্ষায়, শ্বাসের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয় যে ব্যক্তি অ্যালকোহল সেবন করেছেন কি না। এক্ষেত্রে যদি কোনও ব্যক্তি প্রথমবারের মতো এই (বিএ পরীক্ষা) বা শ্বাস-প্রশ্বাসের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাহলে ব্যক্তির লাইসেন্স তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হলে লাইসেন্স তিন বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। আর একই ব্যক্তি তৃতীয়বার ধরা পড়লে তার লাইসেন্সই বাতিল হয়ে যায়। যেমন, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে, ৩৩ জন পাইলট এবং ৯৭ জন কেবিন-ক্রু সদস্য শ্বাস বিশ্লেষক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন।