Honey trap: মায়ের ফোন থেকে তরুণকে হানি ট্র্যাপ নাবালিকার, ঘটনা শুনে অবাক হাইকোর্ট

এক নাবালিকার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ৩ মাস ধরে জেলে ছিল এক কলেজ পড়ুয়া তরুণ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিল নাবালিকার মা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হানি ট্র্যাপের বিষয়টি সামনে আসতেই ওই তরুণের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আইনজীবীদের দাবি ছিল, ওই তরুণের কাছে টাকা দাবি করেছিল নাবালিকা। কিন্তু, সেই টাকা দিতে না পারায়  তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার মা।

আরও পড়ুন: ‘নগ্ন ছবি ফাঁস করে দেব’, হুমকি দিয়ে ১১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার অভিনেত্রী

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ ক্রান্তির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। তাতে পুলিশের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে হানি ট্র্যাপের বিষয়টিতে মান্যতা দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। একইসঙ্গে এমন ট্র্যাপ দেখে কার্যত বিস্মিত হাইকোর্ট। কারণ মায়ের মোবাইল থেকেই নাবালিকা তরুণকে ঘনিষ্ঠভাবে সময় কাটানোর আহ্বান দেয়। অথচ তা টেরই পেলেন না মা। শুধু তাই নয়, পরে তিনি টাকাও দাবি করলেন ওই তরুণের কাছ থেকেই। তাই নিয়ে কার্যত সন্দেহ দানা বাঁধে। সে ক্ষেত্রে আরও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন আবেদনকারীর আইনজীবী। 

জানা গিয়েছে, ফেসবুকে একটি পেজ রয়েছে যার নাম হল- ‘লাল পরী’। এরপর তরুণ ওই পেজ থেকে আহ্বানে সাড়া দেয়। এরপর তরুণের মেসেঞ্জারে ওই পেজ থেকে স্বল্পবসনে ছবি পাঠানো হতে থাকে। এমনকী ঘনিষ্ঠ হওয়ার ডাকও দেওয়া হয়। আইনজীবীদের বক্তব্য, এক কথায় ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য যত রকমের পোজ দরকার সেই সব রকমের পোজের ছবি তরুণকে পাঠিয়েছিল ওই নাবালিকা। তাছাড়া নাবালিকার বাড়ি তরুণের বাড়ির দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। এক সময় তরুণটি ফাঁকা বাড়িতে হাজির হয় নাবালিকা। আর তারপরেই বিপত্তি।

তরুণের কাছে দু লাখ টাকা দাবি করে নাবালিকা। তবে তা দিতে অস্বীকার করে ওই তরুণ। এরপরে নাবালিকার মা এসে হাজির। তিনি টাকা দাবি করেন। কিন্তু, টাকা দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ওই তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান মহিলা। তারপরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মহলের মতে, এই ধরনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। অনেক ঘটনা আছে যেগুলি প্রচারে আসে না। কারণ সে ক্ষেত্রে পুরুষরা স্বাভাবিকভাবে সম্মানের ভয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। ফলে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যাচ্ছে। তবে আইনজীবীর বক্তব্য, এরসঙ্গে একটা চক্র কাজ করছে। ওই তরুণ ছাড়া আরও অনেককে এভাবে তারা ফাঁসিয়েছে। এটা নতুন ধরনের অপরাধের ট্রেন্ড। সবশেষে ওই তরুণকে জামিন দেয় আদালত।