Laptop stealing: কোভিডে কাজ হারিয়ে শুরু করেছিলেন ল্যাপটপ চুরি করা, অবশেষে ধৃত তরুণী

চাকরির ইন্টারভিউয়ের নাম করে পিজি বা হস্টেলে থাকত। এরপর আবাসিকদের ল্যাপটপ চুরি করে তা বিক্রি করে দিত। এরকমভাবেই বহু ল্যাপটপ বিক্রি করে দিয়েছিল চোর। শেষ পর্যন্ত ওই চোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আসলে ওই চোর হল একজন মহিলা। একাধিক পিজি এবং হস্টেল থেকে বহু ল্যাপটপ চুরি করেছে সে। সবমিলিয়ে যার পরিমাণ হল ১০ লক্ষ টাকা। ল্যাপটপগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। চোরের নাম জ্যাসি আগরওয়াল। সে রাজস্থানের বাসিন্দা।

আরও পড়ুনঃমোবাইল চুরির জন্য দেওয়া হত মাস মাইনে, আমদাবাদে ধৃত ২ চোর

জানা গিয়েছে, বিটেকে স্নাতক করার পর বেঙ্গালুরুরতে একটি তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানিতে কাজে যোগ দিয়েছিল জ্যাসি। কিন্তু, কোভিডের সময় তার কাজ চলে যায়। এরপরেই চুরির ধান্দায় নেমে পরে জ্যাসি। চাকরির ইন্টারভিউয়ের নাম করে সে পিজিতে বা হস্টেলে থাকত। এরপর সেগুলি পুরনো বাজারে অল্প দামে বিক্রি করে দিত। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি. দয়ানন্দ বলেছেন, রাজস্থানের ওই তরুণীর কাছ থেকে ২৪ টি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে। 

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যখন ঘর ফাঁকা থাকত সেই সুযোগে ল্যাপটপ বা মোবাইল চুরি করে নিত জ্যাসি। এরপর কয়েক সপ্তাহ পরে পিজি ছেড়ে দিত জ্যাসি। অথচ তাকে দেখে কারও কোনও সন্দেহ হতো না। এভাবেই একের পর এক ল্যাপটপ বা গ্যাজেট চুরি করে থাকে সে। 

জানা গিয়েছি, চুরি করা ল্যাপটপগুলি ৫,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা মধ্যে সে বিক্রি করত। সেই টাকা নিয়ে রাজস্থানে ফিরে যেত। পরে আবার বেঙ্গালুরুতে ফিরে এসে একই কায়দায় নয়া জায়গায় ফাঁদ পাতত। এই ঘটনায় প্রথম একজনে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই প্রাক্তন আইটি কর্মীর খোঁজ পায় এবং তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  জানা গিয়েছে, জ্যাসি আগরওয়াল চাকরির জন্য নয়ডা থেকে বেঙ্গালুরুতে যায়। এরপর সেখানে এই কাজে নেমে পড়ে। কেউ ল্যাপটপ বা অন্যা কোনও গ্যাজেট চার্জ করার জন্য ঘরে রেখে গেলেই চুরি করে পালাত জ্যাসি। আরও কতগুলি ল্যাপটপ সে চুরি করেছে সেগুলি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।