‘এখন যত খুশি বিয়ে করুন, ভোটের পর সব বন্ধ হবে’, ৭৪ বছরের আজমলকে বললেন হিমন্ত

লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে আসতেই নানা বিতর্কিত মন্তব্য শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে। এবার অসমের এআইইউডিএফ প্রধান তথা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে পরামর্শ দিতে গিয়ে বিতর্কে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বদরুদ্দিনকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, এআইইউডিএফ নেতা দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ে করতে চাইলে এখনই বিয়ে করে ফেলুন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) বলবৎ হবে। তখন বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: মিঞারা না থাকলে মানুষ খেতে পেত না, ৩০০ বছরেও সরানো যাবে না মুসলমানদের-আজমল

হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, অসমে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইন তৈরি করা হচ্ছে। এনিয়ে অসম মন্ত্রিসভায় বৈঠক হয়। তাতে মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ আইন ১৯৩৫ বাতিল করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এই পদক্ষেপটিকে ইউসিসি বাস্তবায়নের জন্য অসম সরকারের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। অসম মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরেই বদরুদ্দিন আজমল এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অসমে ইউসিসি কার্যকর করা হলে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি আরও বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মুসলিমদের উসকানি দিয়ে ভোটের মেরুকরণ করতে চান। তবে মুসলিমরা তা হতে দেবেন না।

সেই প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে বদরুদ্দিন আজমলকে আক্রমণ করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘যদি তিনি দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ে করতে চান তবে দেরি না করে এখনই বিয়ে সেরে ফেলুন। নির্বাচনের পরে অসমে ইউসিসি চালু হলেই গ্রেফতার করা শুরু হবে। ফলে এখন বিয়ে করলে কোনও সমস্যা হবে না।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বদরুদ্দিনে রএকজন স্ত্রী আছে শুনেছি। চাইলে এখনও আরও বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শুধু তাই নয়, হিমন্ত বিশ্বশর্মা ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘সাংসদ যদি এখন বিয়ে করেন, তাহলে আমাকেও আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। কারণ এখনও এটা আইনত রয়েছে। তবে নির্বাচনের পর বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডে ইউসিসি কার্যকর হয়েছে। তারপরে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন অসমেও তা চালু হবে। এদিকে, এক কংগ্রেস নেতাও ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে বদরুদ্দিন বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন, তিনি আর বিয়ে করতে পারবেন না। তবে আজমল দাবি করেছিলেন, তিনি চাইলে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন যে আইন তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর বিয়ে করার সাহস রয়েছে।