তুরস্কে আঞ্চলিক ভোটে ধরাশায়ী এরদোগানের দল, জয়জয়কার বিরোধীদের

বিগত প্রায় দু’দশক ধরে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তিনি। গত বছর তিনি পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেই নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের পুরসভা নির্বাচনে বড় রকমের ধাক্কা খেল প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগানের দল একে পার্টি। বিরোধীরা ব্যাপকভাবে জয়ী হয়েছে বলেই দাবি করেছে। তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল এবং আঙ্কারাতে ব্যাপক ভোটে জয়ের দাবি করেছে বিরোধীরা। যা এরদোগানের কাছে বড় নির্বাচনী ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বিগত দুদশকে এত বড় হারের মুখ দেখতে হয়নি এরদোয়ানের দলকে।

আরও পড়ুন: আবারও তুরস্কের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন এরদোয়ান, শুভেচ্ছাবার্তা মোদীর

রবিবার তুরস্কের আঞ্চলিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপরই মধ্যরাতের পরের ভাষণে এরদোগান একে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। নির্বাচনের পর রবিবার ইস্তানবুলে ৯৫ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনা করা হয়েছে। বিরোধী রিপাবলিক্যান পিপল’স পার্টি’র মেয়র প্রার্থী ইকরাম ইমামগলু দাবি করেছেন, তিনি একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লক্ষ ভোটে হারিয়েছেন। তিনি ভোটে জিতেই দাবি করেছেন, জাতির বার্তা বুঝতে পেরেছেন বলেই তিনি জয়ী হয়েছেন।তিনি মনে করেন, তাঁর জয় হল নাগরিকদের প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা।

এদিকে, রাজধানী আঙ্কারাতেও বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থী মনসুর ইয়াভাস বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইসমিরেও বিরোধীরা এগিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশটির ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টি প্রদেশে বিরোধীরা এগিয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, একে পার্টির শক্তিশালী ঘাঁটিগুলিতেও বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। 

এদিন নির্বাচনের ফলাফলের পরেই এরদোয়ান পরাজয়ের কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, তাদের দল যে ফল আশা করেছিল তা হয়নি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের  ৯ মাস পরে স্থানীয় ভোটে এমন ফলাফল মোটেও কাম্য নয়। তিনি জানান, নির্বাচনের জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।

তিনি জানান,  নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে।  উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তুরস্কের রাজনীতিতে ইমামোগ্লুর উত্থান হয়। তিনি ইস্তানবুলে একে পার্টিকে হারিয়ে মেয়র পদে জয়লাভ করেন। গত বছর এরদোগানেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী জোটে ছিলেন।