Matua Mahasangha: মতুয়া মহাসঙ্ঘের ট্রাস্টের প্যান কার্ডে কার ফোন নম্বর রয়েছে? রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

মতুয়া মহাসঙ্ঘের মামলায় এবার হাইকোর্টের নজরে ট্রাস্টের প্যান কার্ড। সেক্ষেত্রে মহাসঙ্ঘের ট্রাস্টের প্যান কার্ডে কোন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে এবং কার নামে মোবাইল নম্বরটি রয়েছে? এবার সেই তথ্য জানতে চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই অবস্থায় আয়কর দফতরকে এই সমস্ত তথ্য আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে বলেছে আদালত।

আরও পড়ুন: মতুয়া মহাসঙ্ঘের দায়িত্ব কার হাতে? সিএএ নিয়ে বিতর্কের মাঝে আদলতে শান্তনু ঠাকুর

মমতাবালা ঠাকুরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৩ মার্চ ট্রাস্টের প্যান কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। এরপর ২৪ মার্চ থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। সেই প্যান কার্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে কার প্যান কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে? সেই বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। কোনও তথ্য গোপন করা হচ্ছে প্রশ্ন উঠছে। এর পরে মমতাবালার আইনজীবীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হাইকোর্ট বলে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে অথবা অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করতে বলা যেতে পারে। 

মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নাম করে একটি অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা জমা করছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভুল বুঝিয়ে কার্ড তৈরির নামে এই টাকাও সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয়।

এই মামলায় আগে কেস ডায়েরি চেয়েছিল আদালত। সেইমতো মহাসঙ্ঘের অ্যাকাউন্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেয় রাজ্য। মমতাবালার আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা এবং বংশের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য হিসাবে বড়মা মমতাবালাকে এই সঙ্ঘের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। শান্তনুকে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মমতাবালার নামে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি আছে। তবে সঙ্ঘাধিপতি নামে কোনও পদের সরকারি খাতায় অস্তিত্ব নেই। মমতাবালার আইনজীবী দাবি করেছিলেন, তিনি সঙ্ঘাধিপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাই আর্থিক দায়িত্বও তাঁর হাতে রয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ বেছে বেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বলেও এই মামলায় অভিযোগ তোলা হয়।

প্রসঙ্গত, মমতাবালা ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি সংসাদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এবার ট্রাস্টের প্যান কার্ড সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।