মুম্বই: দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই পরাজয়। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) পড়ে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। শিবিরে বিভাজন নিয়ে নানা জল্পনা। একদিকে নাকি রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) গোষ্ঠী। অন্যদিকে, হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) অনুগামীরা। শোনা যাচ্ছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আগের ম্যাচের শেষে দুই গোষ্ঠীর সমর্থকেরা হাতাহাতিতেও জড়িয়েছেন। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ তাই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ।
আইপিএল সবে শুরু হয়েছে। তবে দুই দল দুই বিপরীত মেরুতে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যেখানে পরপর দু’ম্যাচ হেরেছে, সেখানে রাজস্থান রয়্যালস টানা দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে। সোমবারের ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠে। আর এবারের আইপিএলে ঘরের মাঠে দলগুলি যা দাপট দেখাচ্ছে, তাতে মুম্বইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর আদর্শ পরিস্থিতি হতে পারে সোমবারই। ওয়াংখেড়েতে নামার আগে হার্দিক ব্রিগেড এটা ভেবেও স্বস্তি পেতে পারে যে, আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তুললেও, তারাও রান তাড়া করে অবিশ্বাস্য লড়াই করেছিল। এমনকী, ম্যাচে একটা পরিস্থিতি এমনও ছিল যখন মনে হয়েছিল, মুম্বই জিতেও যেতে পারে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রাজস্থানের মিডল অর্ডার ব্যাটিং ও ডেথ বোলিং স্বস্তি দেবে সঞ্জু স্যামসনকে। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে যেরকম বিগহিটারদের ভিড়, তাতে সোমবার তাদের পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে। দুই দলই প্লে অফে ওঠার দাবিদার। টুর্নামেন্টের শুরুতেই তাদের প্লে অফ ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তার সময় আসেনি। তবে হারের হ্যাটট্রিক রুখতে মরিয়া থাকবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবির।
রোহিত শর্মার নেতৃত্ব চলে যাওয়া নিয়ে যতটা হইচই হচ্ছে, সেই বিতর্কের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে পাওয়ার প্লে-তে রোহিতের বিধ্বংসী ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম ৬ ওভারকে বলা হয় পাওয়ার প্লে। যখন তিরিশ গজের বৃত্তের বাইরে মাত্র দুজন ফিল্ডার থাকেন। বেশিরভাগ দলই সেই সময় ঝোড়ো গতিতে রান তোলার উদ্দেশে ব্যবহার করে। এবারের আইপিএলে দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লে-তে ২৮ বলে ৫০ রান করেছেন রোহিত। পাওয়ার প্লে-তে স্ট্রাইক রেট ১৭৮.৫৭। ২০১৫ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বছরে যা ছিল ১৫০.৮৪। মুকুট হারানো রোহিতই কি হার্দিকের মুকুটরক্ষার দায়িত্ব নেবেন সোমবার?