TMC leader: ‘বিজেপি ও সিপিএম-কে কুকুর-বিড়ালের মতো ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করুন’ নিদান তৃণমূল নেতার

লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই কখনও বেফাঁস মন্তব্য আবার কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলছেন রাজনৈতিক নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। ঠিক সেই আবহে এবার বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থী, নেতাদের কুকুর বিড়ালের মতো ঝাঁটা নিয়ে তাড়ানোর নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খান এমনই নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তারপরেই তৃণমূলের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: বক্তব্য কেটে দেখানো হয়েছে, দাবি অভিজিৎকে ভোটে হারানোর কথা বলা বিজেপি নেতার

বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর হয়েই নির্বাচনী প্রচারে যান রেজাউল। ইন্দপুর ব্লকের আটবাইচন্ডী গ্রামে অরুপ চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে এই নিদান দেন তিনি। তাঁর এই নিদানকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি ও সিপিএম। 

কী বলেছেন তৃণমূল নেতা?

প্রচারে নেমে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘বিজেপির সাংসদ আপনাদের জন্য কিছু করেনি। আপনাদের রাস্তার দাবি ছিল। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সেই দাবি পূরণ করেছেন। তাই এবার বিজেপি ও সিপিএম ভোট চাইতে এলে কুকুর বিড়ালের মতো তাঁদের ঝাঁটা নিয়ে বিদায় করবেন।’ যদিও পরে নিজের বক্তব্য থেকে সরে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এলাকার মানুষ জনই সিপিএম ও বিজেপিকে ঝাঁটা মেরে বিদায়ের কথা বলছে।’

উল্লেখ্য, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি রেজাউল খান। ভোটের মুখেও আবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা। তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। 

এবিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা মধুময় প্রামাণিক জানিয়েছেন, এবার ভোটে তৃণমূল হারবে। নিশ্চিত পরাজয় জেনে ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্যই এমন ভুলভাল কথা বলছেন তৃনমূলের ওই নেতা। সিপিএমও এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল সবকিছুতেই দুর্নীতি করেছে। তাই ভোটের মুখে সাধারণ মানুষকে বলার মতো কিছু নেই তৃণমূলের। তাই এই ধরনের মন্তব্য করে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এবিষয়ে সিপিএমের স্থানীয় নেতা প্রভাত কুসুম রায় বলেন, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি যথার্থই বলেছেন। গত ১০ বছরে বাঁকুড়ার দুই সাংসদ কোনও কাজ করেননি। তাই এই লোকসভার জন্য মানুষ প্রস্তুত আছে। কে কাকে ঝাঁটা মেরে বিদায় করে তা এই নির্বাচনেই বোঝা যাবে।