ময়ঙ্কের আগুন গতিতে ছারখার আরসিবি, আরসিবিকে ২৮ রানে হারাল লখনউ

বেঙ্গালুরু: প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে নাজেহাল করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও ময়ঙ্ক যাদবের (Mayank Yadav) দাপট অব্যাহত রইল। তিন উইকেট নিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lucknow Super Giants) তরুণ তুর্কি। তাঁর আগুন গতিতেই ছারখার হয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bengaluru)। ১৮২ রান তাড়া করতে নেমে ১৫৩ রানে অল আউট হয়ে গেল আরসিবি। ২৮ রানে জয় পেল লখনউ। ঘরের মাঠে নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচ হারল আরসিবি।

প্রথম ইনিংসে লখনউয়ের হয়ে কেএল রাহুল এবং কুইন্টন ডি কক কিন্তু দুরন্তভাবে ইনিংসের শুরুটা করেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করে ফেলে লখনউ। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেই কেএল রাহুলকে সাজঘরে ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (Glenn Maxwell)। ২০ রানে আউট হন তিনি। রাহুলের মতো আরসিবির আরেক প্রাক্তনী দেবদূত পাড়িক্কালও নিজের ঘরের মাঠে রান পাননি। ছয় রানেই তাঁকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মহম্মদ সিরাজ।

তবে ডি কক কিন্তু নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। ১২তম ওভারে অর্ধশতরান পূরণ করেন তারকা কিপার-ব্য়াটার। মার্কাস স্টোইনিসও ডি কককে ভালই সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর ইনিংসও সমাপ্ত করেন ম্যাক্সওয়েল। নিজের চার ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। নিকোলাস পুরান এরপর ক্রিজে ব্যাটিং করতে নামেন। পুরানের ব্যাটিং দক্ষতা সম্পর্কে সকলেই অবগত। দুই রানে তাঁর ক্যাচ ফেলেন অনুজ রাওয়াত। তাঁর মাশুল গুণতে হয় আরসিবিকে। পুরান ২১ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন। পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে লখনউ।

আরসিবির সামনে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। চিন্নাস্বামীর পিচ প্রথাগতভাবে ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। অতীতে আইপিএলে প্রায়শই দু’শো রানের গণ্ডি পার হয়েছে এই মাঠে। তবে এবারের পিচের চরিত্র খানিকটা ভিন্ন। খানিকটা মন্থর। স্পিন সহায়ক। ম্যাক্সওয়েল প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট সেই তত্ত্ব আবারও প্রমাণ করেন। সেই লক্ষ্যেই দুই স্পিনারকে দিয়ে ইনিংসের শুরুটা করিয়েছিলেন লখনউ অধিনায়ক রাহুল। আরসিবির দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ডু প্লেসি শুরুটা কিন্তু ভালভাবেই করেছিলেন। তবে শেষ হাসি হাসেন সিদ্ধার্থ মণিমরন। ২২ রানে ফেরান বিরাটকে। পরের ওভারেই ১৯ রানে রান আউট হন ফাফ।

এরপরেই শুরু হয় ময়ঙ্ক যাদবের দাপট। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট হাতে হতাশাজনক আইপিএল অব্যাহত থাকে। শূন্য রানে ফেরেন তিনি। ক্যামেরন গ্রিন (৯), অনুজ রাওয়াতরা (১১) কেউই বড় রান পাননি। রজত পাতিদার লড়াই করছিলেন বটে, তবে তাঁকেও ২৯ রানে সাজঘরে ফেরান ময়ঙ্ক। ধুঁকতে থাকা আরসিবি ইনিংসকে কিছুটা অক্সিজেন প্রদান করেন ইমপ্যাক্ট সাব হিসাবে মাঠে নামা মহিপাল লোমরোর। ১৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। তবে তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষমেশ ২০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ১৫৩ রানে অল আউট হয়ে যায় আরসিবি।  

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে

আরও পড়ুন: হারের হ্যাটট্রিকের পর সকলের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক?

আরও দেখুন