Honey collected from Sundarbans: লক্ষ্যমাত্রা ১০ টন, সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে নামলেন মউলিরা, নিরাপত্তা দেবে বনবিভাগ

প্রতিবছরের মতো এবারও সুন্দরবনে শুরু মধু সংগ্রহ করার কাজ শুরু করে দিলেন মউলিরা। গত বছর সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ হয়েছিল ১৭ টন মধু। যদিও এবার সুন্দরবন থেকে ১০ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেক বেশি মধু সংগ্রহ হবে বলেই আশা করছেন মউলিরা। পাশাপাশি এবার মধুর দাম প্রতি কেজিতে ৩০০ টাকা করা হয়েছে, যা গতবারের থেকে অনেকটাই বেশি। 

আরও পড়ুনঃ বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় এবার সুন্দরবনে বেশি সংখ্যায় মধু সংগ্রহে বেরোলেন মৌলেরা

 নবিবির মন্দিরে পুজো দিয়ে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে নেমে পড়েন মউলিরা। সাধারণ গত কয়েকবছরে ইয়াস, আমফানের কারণে সুন্দরবনে মৌচাকের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে গত বছরের মতো এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় সুন্দরবন থেকে বেশি মধু মিলবে বলে আশাবাদী বনদফতর এবং মউলিরা। এবার সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের জন্য থাকছে মউলিদের ৯১ টি দল, যা গতবাররেরর থেকে অনেক বেশি। এছাড়া ১৫০ টি নৌকাকে অনুমতি দেওয়া হবে। জানা গিয়ছে, মধু সংগ্রহের পরে এই সমস্ত নৌকায় করে মধু বন দফতরের কার্যালয়ে আনা হবে। সেখানে মউলিদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। 

সাধারণত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন দফতর ও ব্যাঘ্র প্রকল্প মিলিতভাবে মধু সংগ্রহ করে থাকে। তাই মধু সংগ্রহের জন্য এই দুটি দফতরের কাছেই অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি মেলার পরেই এবার মধু সংগ্রহে নেমে পড়েছেন মউলিরা। প্রথমে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করবেন মউলিরা। এরপর আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ব্যঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে বেড়াবেন। আগামী ১ মাস ধরে তারা এভাবেই মধু সংগ্রহ করে বেড়াবেন। ব্যঘ্র প্রকল্পে মধু সংগ্রহের জন্য সজনেখালি এবং বাগনারেঞ্জ থেকে অনুমতি পাবেন মউলিরা। 

প্রসঙ্গত, গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের বিপদ যেমন থাকে তেমনিই থাকে দুষ্কৃতিদের ভয়, যারা মধু চুরি করে থাকে। সেই কথা মাথায় রেখেই বন দফতরের তরফে মউলিদের বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে বন দফতর। যেখানে মউলিরা মধু সংগ্রহ করবেন সেখানে বনদফতরের টহলদারি দল থাকবে। ফলে মউলিরা কোনও সমস্যায় পড়লে টহলদারি দল দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে। এছাড়াও মধু সংগ্রহের সময় কোনও মউলি বাঘের হানায় নিহত হলে সেক্ষেত্রে বন দফতরের তরফে ২ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

এবার বেশি মধু পাওয়া যাবে বলে আশা মউলিদের। তাঁদের দাবি, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে মৌচাক রয়েছে সুন্দরবনে। তা থেকে অনেক বেশি মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।