মহিলার টুকরো করা দেহ উদ্ধার ওয়াটগঞ্জে, প্লাস্টিকে মোড়া ধড়হীন মাথা ও হাত

ওয়াটগঞ্জে এবার মারাত্মক কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার ধড়হীন মাথা এবং হাত। পরিত্যক্ত ওই বহুতল থেকে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় ওই দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তারপর পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্লাস্টিকে মোড়া কিছু দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডিসি পোর্ট হরেকৃষ্ণ পাই এবং কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড টিম। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ওয়াটগঞ্জ এলাকার সত্য ডক্টর লেনে। গন্ধ বেরোনোয় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তখন প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই প্লাস্টিকগুলি উদ্ধার করেছে।

এদিকে পরিত্যক্ত ওই বাড়িটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকজন প্রথমে কালো প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখেন। বাজে গন্ধ বেরোনোয় তাঁদের সন্দেহ হয়। তখন ঝুঁকি না নিয়ে তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই প্লাস্টিকগুলি উদ্ধার করে। প্যাকেটগুলির মধ্যে মহিলার টুকরো করা দেহ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দেহাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্য কোথাও ওই মহিলাকে খুন করে দেহ তিনটি অংশে কেটে ওই জায়গায় ফেলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্লাস্টিকে মোড়া ওইসব দেহাংশ পাঁচিল ঘেরা জায়গায় ছুঁড়ে ফেলার ধারণা করছে পুলিশ। এমন আরও দেহাংশ ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলা হয়েছে কিনা সেটা তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ প্রধানমন্ত্রী কি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন?‌ জলপাইগুড়ি থেকে সরব মুখ্যমন্ত্রী

অন্যদিকে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অন্য কোথাও খুন করে মৃতদেহ লোপাট করার জন্য মহিলার দেহাংশ আলাদা আলাদা করে কেটে আলাদা আলাদা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আসলে খুনের যাতে কিনারা করা না যায় তার জন্যই এই পরিকল্পনা করে কাজ করা হয়েছে। তবে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সেটা এখনই বুঝতে পারেনি পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ঘটনাস্থলে ডগ স্কোয়াড এসে গিয়েছে। এলাকার ওই বাড়ির কোনও সিসিটিভি ফুটেজ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যাতে খুনের কিনারা করা যায়।

এছাড়া মহিলার পেটের অংশ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। সেটা নিশ্চয়ই অন্য কোথাও ফেলা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেহটি দেখে মহিলার আনুমানিক বয়স ৩০–৩৫ বছর বলে অনুমান পুলিশের। এই খুনের কিনারা করতে এখন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এটাও দেখা হচ্ছে যে, মহিলাকে ওই পরিত্যক্ত জায়গায় খুন করা হয়েছে, না কি অন্য কোথাও খুন করে ওয়াটগঞ্জের ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা জানতে জোরদার তদন্ত শুরু হয়েছে।