Bhojshala Complex: সরস্বতীর মন্দির নাকি মৌলা মসজিদ, মধ্য়প্রদেশের সৌধ নিয়ে এল সুপ্রিম নির্দেশ

মধ্য়প্রদেশের ধর জেলায় বহু প্রাচীন একটি কাঠামো। একেবারে মধ্য়যুগীয় একটি কাঠামো। মুসলিম ও হিন্দু উভয়ই দাবি করে যে এই কাঠামোটি তাদের। তবে এই ভোজশালা কমপ্লেক্সে বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষা করার জন্য যে নির্দেশ ছিল তাতে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে এএসআই সার্ভে করার পরে তার থেকে  যে রিপোর্ট বের হবে সেটা নিয়ে কোনওভাবেই আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। 

আসলে এই ভোজশালাকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই নানা বিতর্ক। ১১ শতকের একটা সৌধ। সেই সৌধকে ঘিরে নানা বিতর্ক। হিন্দুপক্ষের দাবি এটি হল দেবী সরস্বতীর মন্দির। মুসলিমদের দাবি এটা হল  কমল মৌলা মসজিদ। কিন্তু আসলে এটা কী তা নিয়ে প্রশ্নের সব উত্তর মেলেনি এখনও। 

এদিকে ২০০৩ সাল থেকে মঙ্গলবার করে ভোজশালা চত্বকে পুজোর আয়োজন করেছিলেন হিন্দুরা। আর ওই চত্বরে মুসলিমরা নমাজ পরেন প্রতি শুক্রবার করে। 

এদিকে বিচারপতি ঋষিকেশ রায় ও পিকে মিশ্র কেন্দ্রের কাছে নোটিশ ইস্যু করেছিলেন। মধ্য়প্রদেশ সরকারের কাছেও এই ধরনের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। মৌলানা কালামউদ্দিন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি মধ্য়প্রদেশ হাইকোর্টের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিল। আসলে ওই হাইকোর্ট বিজ্ঞানসম্মত সার্ভের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিল। তারপরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় ওই সোসাইটি। 

বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, সার্ভেতে যে রিপোর্ট বের হবে তার উপর ভিত্তি করে এখনই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আদালতকে এব্যাপারে জানাতে হবে। তারপর আদালত যে পদক্ষেপ নেবে সেটাই মানতে হবে। নিজেদের থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। 

এর আগে বারাণসী কোর্টের তরফে জ্ঞানবাপী মসজিদের নির্দিষ্ট অংশে পুজোপাঠ করার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এনিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। অঞ্জুমান মসজিদ কমিটির তরফে বারাণসী কোর্টের আগের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। এরপর তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে যান। কিন্তু সেখানেও স্থগিতাদেশের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এদিকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে।

বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ জানিয়েছে, মসজিদ পক্ষের তরফে প্রথমে ১৭ জানুয়ারির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো দরকার।

সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, বারাণসী জেলাশাসককে রিসিভার হিসাবে নিয়োজিত করা হয়েছে, ও তারপর জেলাশাসক জ্ঞানবাপী চত্বরের অধিকারটি বুঝে নেন গত ২৩ জানুয়ারি।

এরপর জেলা আদালতের তরফে ৩১ জানুয়ারি একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ বেসমেন্টে পুজো করতে পারেন। একজন পুরোহিতের মাধ্য়মে এই পুজোপাঠ হতে পারে।

এবার আদালতের তরফে আইনজীবী এসএফএ নাকভিকে জানানো হয়েছিল ১৭ জানুয়ারির যে নির্দেশটা রয়েছে সেটাকে কেন চ্য়ালেঞ্জ করছেন না?

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, কমিটি দ্রুত সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু তারা একুশে জানুয়ারির নির্দেশকে আগে চ্যালেঞ্জ করেন কারণ জেলাশাসক রাতারাতি পুজোর ব্যবস্থা করেছিলেন। ৯ ঘণ্টার মধ্য়ে পুজোপাঠ করে ফেলা হয়।

এদিকে হিন্দুপক্ষের তরফে আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানিয়েছেন, আসল যে নির্দেশ রয়েছে সেটাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। এদিকে মসজিদ কমিটির পক্ষে থেকে সুপ্রিম কোর্টেরও দরবার করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল তাদের হাইকোর্টেই জানাতে হবে।

এবার ভোজশালা নিয়েও এল বড় নির্দেশ।