High Court on Sex outside marriage: বিয়ের পরে স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে সেক্স? সেটা অপরাধ নয়- হাইকোর্ট

বিয়ের পরে স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সেক্স করলে তা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে না। পর্যবেক্ষণ করল রাজস্থান হাইকোর্ট। গত ২১ মার্চ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার আওতায় পরকীয়ার বিষয়টি অপরাধ বলে গণ্য করা হত। কিন্তু ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই বিষয়টিকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই রায় দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট।

যে মামলার প্রেক্ষিতে সেই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট, তা দাখিল করেন এক ব্যক্তি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ নম্বর ধারায় তাঁর দায়ের করা যে এফআইআর খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল, সেটা পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। 

প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রী’কে অপরহণ করেছেন তিনজন। কিন্তু অন্য একটি মামলায় জেলে থাকার কারণে তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। তারইমধ্যে তাঁর স্ত্রী আদালতে হাজিরা দিয়ে দাবি করেছিলেন যে নিজের ইচ্ছায় এক অভিযুক্তের সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপে আছেন। সেই পরিস্থিতিতে ওই ব্যক্তির দায়ের করা এফআইআর খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। কারণ দুটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে সামাজিক নৈতিকতার থেকে সাংবিধানিক নৈতিকতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: Vande Bharat to replace Rajdhani Express: উঠে যাবে রাজধানী এক্সপ্রেস, ছুটবে এসি স্লিপার বন্দে ভারত! কবে ট্রায়াল রান হবে?

সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী সওয়াল করেন যে লিভ-ইন রিলেশনশিপের বিষয়টি যেহেতু স্বীকার করে নিয়েছেন মহিলা, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ নম্বর ধারা (স্বামী বা স্ত্রী বেঁচে থাকার সময় ফের বিয়ে করা) এবং ৪৯৭ নম্বর ধারায় (পরকীয়া) মামলা রুজু করা হোক। নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে হাইকোর্টকে সামাজিক নৈতিকতা রক্ষা করার আর্জি জানান ওই ব্যক্তির আইনজীবী। নিজের সওয়ালের স্বপক্ষে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের একটি রায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।

যদিও সেই যুক্তি বা উদাহরণ ধোপে টেকেনি হাইকোর্টে। বিচারপতি বীরেন্দ্র কুমার জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়টি পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের সামনে পেশ করা হয়নি। শীর্ষ আদালতের রায় উল্লেখ করে রাজস্থান হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ নম্বর ধারা চাপানোর কোনও বিষয়ই নেই, কারণ মহিলা বিয়ে করেননি।

আরও পড়ুন: মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে পরকীয়া! কেন? যা বলছে সমীক্ষা

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারাকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে দিয়েছিল ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। যে ধারায় বলা হয়েছিল, যদি কোনও ব্যক্তি স্বামীর অনুমতি ছাড়াই কোনও বিবাহিত মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাহলে আইনের আওতায় তিনি শাস্তি পাবেন। সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। এমনকী জরিমানাও দিতে হতে পারে ওই ব্যক্তিকে।

আরও পড়ুন: CJI Chandrachud on CBI investigation: CBI-র মতো এজেন্সিগুলিকে মামুলি মামলার তদন্তে নামানো হচ্ছে, মত CJI চন্দ্রচূড়ের