Illegal construction: ভোটের জন্য বিধাননগরে BJP ঘর ভাড়া নিতেই মালিককে ‘অবৈধ নির্মাণের’ নোটিশ

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু। ফলে সূর্যের প্রখর রোদের সঙ্গে ভোটের পারদও চড়ছে। ভোটের প্রচার সংক্রান্ত কাজ পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী কার্যালয় করেছে। সল্টলেকেও বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় করা হয়েছে। সেটি অবস্থিত এফডি ব্লকের ১৮০ নম্বর বাড়ির ৩ তলায়। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের প্রচার সংক্রান্ত কাজের জন্য এখানে নির্বাচনী কার্যালয় করেছে বিজেপি। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে তারপরেই বাড়ির মালিককে নোটিশ দিল বিধাননগর পুরসভা। বাড়িটিতে একাধিক অবৈধ নির্মাণ হয়েছে জানিয়ে ৭ দিনের মধ্যে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে হেলে পড়া বাড়ির অংশ ভেঙে ফেলতে চায় পুরসভা, মালিককে পাঠাল নোটিশ

জানা গিয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে তৃতীয় তলা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বৈঠক হচ্ছে বিজেপির। তবে বাড়িতে ঢোকার মূল গেটের দেওয়ালে বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে একটি নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। ওই নোটিশে বাড়িটির একাধিক অংশে অবৈধ নির্মাণ এবং একতলায় অবৈধভাবে গেস্টহাউসকে ভাড়া দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি ওই নোটিশে বাড়ির মালিককে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অবৈধ নির্মাণ হিসেবে চিহ্নিত করা অংশগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। 

বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি যেহেতু তারা নির্বাচনী কার্যালয় করেছে তাই এমন নোটিশ পাঠিয়েছে শাসক দল। একই দাবি বাড়ির মালিকে চন্দ্রমোহন সরকারের। তাদের দাবি,  বাড়িটিতে অবৈধ নির্মাণ হলে এতদিন কেন নোটিশ পাঠানো হয়নি। এখন কেন নোটিশ পাঠানো হল। বিজেপি কার্যালয় করার জন্যই  তাকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে । 

এ বিষয়ে  তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, জলাভূমি বুজিয়ে অবৈধভাবে বাড়ি হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট নির্দেশ দিচ্ছে তারপরেও ভাঙতে পারছে না, আর এই বাড়িটা অনেক পুরনো। তাহলে এতদিন ধরে কী করছিল বিধাননগর পুরসভা। রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু, এতে লাভ হবে না। বিধাননগরে তৃণমূল হারবে।’ 

অন্যদিকে, বিধাননগরের মেয়র পরিষদ বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সম্প্রতি গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর থেকে যে সমস্ত বাড়ি অবৈধ রয়েছে সেগুলিকে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। সেইমতোই ওই বাড়ির মালিককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অন্য বাড়িতেও নোটিশ পাঠানো হবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।