Mahua Moitra: মহুয়ার বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ, মামলা করল ইডি, প্রচারের মধ্যে জোর ধাক্কা!

নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে। আর তার মধ্য়েই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর জন্য় এল খারাপ খবর। ইনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে মামলা রুজু করল। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে মহুয়ার বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মহুয়াকে তলব করেছিল বলে খবর। কিন্তু বার বার সেই তলব এড়িয়ে যান তিনি। 

আসলে একটি প্রবাসী অ্যাকাউন্ট নিয়ে কিছুটা সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তার জেরেই ইডি তাকে জেরা করতে চায় বলে খবর। তবে এনিয়ে তৃতীয় সমনও এড়িয়ে গিয়েছিলেন মহুয়া। 

এদিকে ভোটের মাঝপথে মহুয়ার বিরুদ্ধে ইডির মামলাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই  শোরগোল পড়ে গিয়েছে কৃষ্ণনগরে। তবে এনিয়ে মহুয়া মৈত্রর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়াকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন কারোর নাম ঘোষণা করা হয়নি তখনই মহুয়ার নাম নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মমতা। তবে এবার ওই আসনে মহুয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির অমৃতা রায়। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনে ফলাফল কী হয় সেটা জানার জন্য় আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

এদিকে এর আগে ইডির সমন এড়িয়ে মুখ খুলেছিলেন মহুয়া। তিনি বলেছিলেন, সিবিআই আমার বাড়িতে তল্লাশি করে ৫টা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে গেল। তাতে লেখা, কোনও তথ্য – প্রমাণ বা নথি পাওয়া যায়নি। কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। আমার বাড়িতে কিচ্ছু পায়নি। তল্লাশি করে লবডঙ্কা পেয়েছে। এটা বেশ হাস্যকর। মানুষ তো সব দেখছে’।

মহুয়া আরও বলেছিলেন, ‘আমি খোলামেলা জীবন যাপন করি। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার মুখ বন্ধ করতে পারে, কিন্তু মানুষের মুখ বন্ধ করা যায় না।’

ইডির তলব নিয়ে মহুয়া বলেছিলেন, ‘ইডি ইডির কাজ করছে। আমি আমার কাজ করছি।’

সূত্রের খবর, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনেও মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। একটি এনআরই অ্যাকাউন্টের লেনদেনও তাঁদের নজরে রয়েছে মহুয়া এবং দর্শন। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুজনকে ডাকা হয়েছে।

‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডেই গত ডিসেম্বরে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মহুয়াকে। মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। সংসদে ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দেয়। বহিষ্কারের পর মহুয়া জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি। এই বহিষ্কারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে এখনও মামলাটি বিচারাধীন।

তার মধ্য়েই এবার এল নতুন মামলা।