রহস্যময় অসুস্থতা। যার জেরে মাথা ঘোরার মতো কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এমনই অসুস্থতা বিশ্বের নানান জায়গায় অবস্থিত মার্কিন কূটনীতিবিদ, অফিসারদের মধ্যে দেখা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে। এমনই দবি করে জার্মানির ‘ডের স্পিয়েগেল’, ‘৬০ মিনিটস’ এবং রাশিয়াকে ফোকাসে রাখা তদন্তকারী মিডিয়া গোষ্ঠী ‘ইনসাইডার’ এর সম্মিলিত একটি তদন্তের মিডিয়া রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন আমলাদের এই রহস্যময় অসুস্থতার নেপথ্যে রয়েছে রাশিয়ার গোয়েন্দা ইউনিট। এই রিপোর্টের দাবি নস্যাৎ করেছে রাশিয়া।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা লেফ্টন্যান্ট কর্নেল গ্রেগ এডগ্রিন হাভানা সিন্ড্রোম নিয়ে কিছু রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রতিরক্ষার আঁতুরঘর পেন্টাগনে হাভানা সিন্ড্রোম নিয়ে তত্ত্ব তলাশ করেছেন এডগ্রিন। এদিকে, জানা যাচ্ছে, এক এফবিআই অফিসারের রহস্যময় ঘটনা। ক্যারি নামের ওই এফবিআই অফিসার মার্কিন মুলুকে এক রাশিয়ার গুপ্তচরের খোঁজ করছিলেন। আচমকা ২০২১ সালে তিনি তাঁর বাড়িতে অসুস্থতা বোধ করেন। কেমন লাগছিল সেই সময় ক্যারির? তিনি তদন্তকারীদের বলেছেন,’মনে হচ্ছিল আমি এই অবস্থায় আটকে গিয়েছি, যেমন, বিভ্রান্তি, কাজ করতে পারছি না, এমন মনে হচ্ছিল।’ এমন বহু মার্কিন আমলার মধ্যেই এই রহস্যময় অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে বলে দাবি রিপোর্টের। এই অসুস্থতার নাম কিউবার রাজধানী হাভানার নামে নামাঙ্কিত। কেন এমন নাম? উত্তরে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে হাভানাতে এমন অসুস্থতার কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল।
( Mukhtar Ansari: মুখতারের হার্টে ‘হলুদ অংশ’ নিয়ে বিষক্রিয়ার তত্ত্ব পরিবারের! ‘দেহ কবরে নিরাপদ’, কোন ইঙ্গিত ভাইয়ের?’)
কোনও কিছুতে মনোনিবেশ করতে না পারা, মাথা ঘোরা, মাথার যন্ত্রণা আর সব সময় কানের মধ্যে একটা অদ্ভুত শব্দ গভীরভাবে শোনা, এই হাভানা সিন্ড্রোমের উপসর্গ। রিপোর্ট দাবি করছে, হোয়াইট হাউস, সিআইএ, এফবিআই সহ একাধিক মার্কিন প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের মধ্যে অনেকেই এমন অসুস্থতার মধ্যে রয়েছেন। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করেছে, ২০১৬ সাল হাভানারও আগে, জার্মানিতে এই সমস্যা প্রথম দেখা যায়। এদিকে, মিডিয়ার তদন্ত দাবি করছে, রাশিয়ার সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ‘২৯১৫৫’ মার্কিন অফিসারদের হাভানা সিন্ড্রোমের নেপথ্যে রয়েছে। বলা হচ্ছে, কোনও ‘ডিরেক্ট এনার্জি’ অস্ত্র দিয়ে মার্কিন আমলাদের টার্গেট করছে রাশিয়ার গোয়েন্দারা। কেন এই পরিস্থিতির নেপথ্যে রাশিয়ার নামই উঠছে? এডগ্রিন বলছেন, এমন কিছু অবস্থা দেখা গিয়েছে, যখন মার্কিন অফিসাররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছু কাজ করছেন, বা রাশিয়া নিয়ে ফোকাস বেশি হচ্ছেন, বা রাশিয়া নিয়ে ভালো কিছু করছেন, তখনই তাঁদের শারীরিক অবস্থা এমন হতে শুরু করে। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে ক্রেমলিন। রাশিয়া বলছে, ‘এই সমস্ত কিছু ভিত্তিহীন। এটি স্রেফ মিডিয়ার কোনও খোঁজ না পাওয়া অভিযোগ।’