৪ ঘণ্টার চেষ্টায় খুলনার জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে

খুলনার রূপসার জাবুসা এলাকার সালাম জুট মিলের অগ্নিকাণ্ড চার ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট ও নৌবাহিনীর দুটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জুট মিলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা আব্দুল কাদির বলেন, বিকাল ৫টা ৩৮ মিনিটে আমরা আগুন লাগার সংবাদ পাই। তারপর ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এর পর যোগ দিয়েছে আরও ৫টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের ও নৌবাহিনীর প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুকনো পাট হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। সুতা ও রফতানিযোগ্য পাটজাত পণ্য সেখানে মজুত ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২ সালে সালাম জুট মিল চালু হয়। এখানে মূলত পাটের সুতা উৎপাদন করা হতো। প্রথমে মিলটির ৩ নম্বর গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে অন্য গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এম এম এ সালাম জানান, তিনটি গুদামে ৭৫০ টন উৎপাদিত পণ্য ছিল। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কাঁচাপাট ছিল ১ হাজার ৩০০ টন; যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের খুলনার বয়রা, রূপসা ও বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে ১৬টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনে অনেক পাট পুড়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও জানা যায়নি। রাত সাড়ে ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৬টি ইউনিটের ২১টি লাইন থেকে পানি ছিটানো হয়। নিয়ন্ত্রণে আসলেও বিশাল গুদামে এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। আগুন পুরোপুরি নিভতে সময় লাগবে। কারণ একটি গুদাম ১ লাখ ৫ হাজার বর্গফুট ও অপরটি ১ লাখ ৪৫ হাজার বর্গফুটের। এত বিশাল গুদামে ডাম্পিং কাজে সময় লাগবে। পাটের আগুন তাই ডাম্পিং করে নেভাতে হবে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেয়াল কেটে মিলের ভেতরে ঢুকেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারা আগুন পুরোপুরি নেভানোর চেষ্টা করছেন।