Karnataka High Court: ভরা এজলাসে প্রধান বিচারপতির সামনেই ছুরি চালালেন ব্যক্তি

ভরা এজলাসে মামলার শুনানি চলছে। সেই সময় ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড। এজলাসে প্রধান বিচারপতির সামনেই পকেট থেকে ছুরি বের করে নিজের গলায় চালিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন এজলাসে থাকা আইনজীবী, মামলাকারী থেকে শুরু করে বিচারপতিরা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার এজলাসে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এজলাসের ভিতরে কার্যত রক্তারক্তি কাণ্ড দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলেই। 

আরও পড়ুন: লোকসভায় টিকিট না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা, ৩ দিন পর মৃত্যু MDMK সাংসদের

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুর ১২.১৫টা নাগাদ। ওই ব্যক্তির নাম এস চিন্নাম শ্রীনিবাস (৫১)। তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান বিচারপতি এনভি আনজারিয়া এবং বিচারপতি এইচবি প্রভাকর শাস্ত্রীর এজলাসে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে মামলার ফাইল ছিল। তাই দেখিয়ে তারা এজলাসের ভিতরে ঢুকে পড়েন। এরপর শ্রীনিবাস তাঁর আবেদন আদালতের কাছে শোনান। তারপরেই ঘটে ভয়ঙ্কর কাণ্ড। নিজের পকেট থেকে ছুরি বের করে গলার নলি কেটে ফেলেন সকলের সামনে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এজলাসের ভিতরে তোলপাড় পরে যায়। প্রধান বিচারপতি তখন পুলিশকে ডেকে শ্রীনিবাসকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

এদিনই অবসর নেন বিচারপতি শাস্ত্রী। তিনি এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নিরাপত্তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। কীভাবে একজন ব্যক্তি ছুরি নিয়ে আদালতের মধ্যে প্রবেশ করলেন? সেক্ষেত্রে নিরপত্তার গাফিলতি রয়েছে বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।একজন পুলিশ কর্তা জানান, শ্রীনিবাসকে বোরিং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির খাদ্যনালী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁকে আইসিইউতে ভরতি করা হয়েছে।

কেন এমন কাণ্ড করলেন ব্যক্তি?

শ্রীনিবাসের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুলিশ জানতে পারে যে কর্ণাটক হাইকোর্ট এর আগে হায়দরাবাদ ভিত্তিক একটি নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মাইসুরুতে দায়ের করা একটি এফআইআর বাতিল করেছিল। তার পর থেকে এই দম্পতি অসন্তুষ্ট ছিলেন আদালতের রায়ে । শ্রীনিবাস অভিযোগ করেছেন, ওই সংস্থা তাঁর সঙ্গে ৯৩ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে। হাইকোর্ট শ্রীনিবাসকে নির্দেশ দিয়েছিল যে এটি একটি দেওয়ানি সংক্রান্ত মামলা। বিষয়টি সমাধানের জন্য নিম্ন আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাঁর জেরেই এমন কাণ্ড। ঘটনায় বিধান সৌধ থানা একটি মামলা দায়ের করেছে এবং বিষয়টির তদন্ত করছে।