NRS hospital: ওষুধ কেনার নামে ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ NRS-এর কিছু কর্মীদের বিরুদ্ধে

রাজ্যের প্রথম সারির গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল হল এনআরএস। এবার সেই হাসপাতালে গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করা হচ্ছে। আর এই অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, হেমাটোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, স্ত্রীরোগ বিভাগের ওষুধ কেনার নামে ভুয়ো বিল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এনআরএস কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: নেশার প্রতিবাদ করায় NRS-এ জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর ও শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ৩

কীভাবে হচ্ছে প্রতারণা?

অভিযোগ, ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের লগ-ইন আইডি হাতিয়ে নিয়ে ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার নামে ভুয়ো বিল তৈরি করা হচ্ছে। আর এভাবেই প্রচুর টাকা গায়েব করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের সংগঠনের বক্তব্য, এটা একটা কেলেঙ্কারি। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে , কয়েকদিন আগেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। সেক্ষেত্রে স্ত্রী রোগ ওয়ার্ডের নামে কিছু জিনিস কেনা হয়েছে বলে জানতে পারেন স্টোরের কর্মীরা। তারপরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কারণ এই হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিভাগের অস্তিত্ব নেই বেশ কয়েকবছর ধরে। জানা যায়, বিল তৈরির ক্ষেত্রেও কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে। আর তারপরই জানা যায় এভাবে একাধিক বিভাগে একইরকম পদ্ধতিতে টাকা লুট করা হয়েছে।

সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের ২ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তারা দুজনে গ্রুপ ডি কর্মী। অভিযোগ, তারা ওষুধ সংস্থার নামে বিল তৈরি করে এভাবেই টাকা হতাচ্ছিল। আর এর জন্য সংস্থার কাছ থেকে তারা কমিশন পেত। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এনআরসির এই ঘটনায় বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

রোগীদের অভিযোগ, সরকার বলছে যে ওষুধের যোগান রয়েছে, অথচ স্টোরে গিয়ে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থা। তাদের বক্তব্য, এটা চক্রান্ত। তবে চিকিৎসকদের সংগঠনের বক্তব্য, সরকারের ঘরে ওষুধ ঢুকছে না, টাকা লুট করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, অভিযোগের সত্যতা তা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে কতদিন ধরে এই চক্র চলছে? এর সঙ্গে আরও কার কার যোগ রয়েছে? তা ছাড়া লগ ইন পাসওয়ার্ড কীভাবে হাতানো হল? হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত কত টাকা লুট করা হয়েছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।