Supreme Court on transfer: মাধ্যমিক শিক্ষকদের বদলিতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

মাধ্যমিক স্তরের সহকারী শিক্ষকদের বদলিতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার চাইলেও আপাতত ওই শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করতে পারবে না। 

বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কালোরের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছে এ নিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি মামলায় আবেদনকারী শিক্ষকদেরও কাছেও তাদের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই বক্তব্য জমা দিতে দেরী করায়, আবেদনকারী শিক্ষকরা শীর্ষ আদালতের কাছে বাড়তি সময় চায় তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। 

শিক্ষকদের বক্তব্য জানানোর জন্য আদালত চার সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেছে। আগামী ৩১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০১৭-এর এক সংশোধনীর মাধ্যমে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিসেস কমিশন আইন ১৯৯৭’-এর একটি ধারার ব্যবহার করে শিক্ষকদের দূরে বদলি করা হচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়ে কিছু শিক্ষক শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়।

আরও পড়ুন। আদালতে জমা পড়ল না মুখ্যসচিবের রিপোর্ট, দুঃখজনক বললেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি

মামলার শুনানিতে সরকারের পক্ষে আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ‘রাজ্যের আইন রাজ্যের সব সরকারি স্কুল শিক্ষকদের মেনে চলতে হবে। সবাই যদি ঘরের কাছে চাকরি করব বলেন, তবে যেখানে শিক্ষকের পদ খালি, পডুয়ার সংখ্যা বেশি, সেখানে কী করে পড়াশোনার কাজ চালানো যাবে?’

আরও পড়ুন। এখুনি প্রোমোটারকে জেলে ভরা উচিত, বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণে কড়া অবস্থান আদালতের

আবেদনকারীদের বক্তব্য, আইনের নতুন ধারা চালু হওয়ার পর যাঁরা শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের জন্যই শুধু কার্যকর হোক দূরে বদলির নিয়ম। কিন্তু আগে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের দূরে বদলি চলবে না।’

আবেদনকারী শিক্ষকদের পক্ষে হাজির ছিলেন আইনজীবী শারদ সিংহানিয়া। তিনি আবেদনকারীদের লিখিত বক্তব্য জানানোর জন্য আর্জি রাখেন। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। আদালত বদলিতে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। এর ফলে রাজ্য সরকার চাইলেও বদলি করতে পারবে না স্থগিতাদেশ চলাকালীন। এই স্থগিতাদেশ জারি থাকায় সাময়িক স্বস্তিতে শিক্ষকরা। 

আরও পড়ুন। মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যায় বৃদ্ধিতে চমক! গতবারকে ছাপিয়ে গেল সদ্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষ