Watganj Murder Case: ওয়াটগঞ্জে দেহের খণ্ড অংশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে এল মহিলার পরিচিতি!ফেরার স্বামী, ধৃত ১

ওয়াটগঞ্জে সিআইএসএফের পরিত্যক্ত আবাসনের চত্বর থেকে মহিলার দেহের খণ্ড খণ্ড অংশ উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেহখণ্ড উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মহিলার পরিচিতি সামনে এসেছে। এরপর তদন্ত এগোতেই গ্রেফতার হয়েছে মহিলার স্বামীর ভাই। এদিকে মৃত দুর্গা সরখেলের স্বামী ফেরার। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত দুর্গা সরখেলের বয়স ৩০ বছর।

যুবতীকে খুন করতে তাঁকে মদ্যপান করানো হয়েছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিশ বলছে, ওই মহিলা দুর্গা সরখেলের স্বামী মদ ও মাদকে আসক্ত। তিনি ছিলেন রিহ্যাবে। গত সোমবার দুর্গার স্বামী রিহ্যাব থেকে পালিয়ে আসেন। আর পালিয়ে বাড়িতেই আসেন। এদিকে, দুর্গার হত্যার পর থেকে ফেরার তাঁর স্বামী। তবে পুলিশের নজরে রয়েছে দুর্গার স্বামীর ভাই নীলাঞ্জন সরখেল। নীলাঞ্জনকেই এই হত্যা ঘিরে সন্দেহ করছে পুলিশ। লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকরা ও ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ নীলাঞ্জনকেই এই বিষয়ে সন্দেহ করছে। বুধবার রাতেই নীলাঞ্জনকে আটক করেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। 

(Rajnath speech of moye moye Video: ইন্ডিয়া ব্লককে জনতা ‘মোয়ে মোয়ে’ করে দেবে- ভাইরাল ট্রেন্ড ধরে ভাষণ রাজনাথের )

( Moong daal Benefits:গরমে হজমশক্তি ভালো রাখতে মুগের ডাল খাচ্ছেন তো! এর বাকি গুণাগুণও কিছু কম নয়)

( Lok sabha vote 2024 survey:যোগীগড়ের ৮০ আসনে কি ‘কাঁটে কি টক্কর’? BSP কি হবে বিরোধীদের জন্য ফ্যাক্টর! সমীক্ষা যা বলছে…)

পুলিশ সূত্রে দাবি, সোমবার রাতে বাড়ি পালিয়ে এসে, আকণ্ঠ মদ পান করেছিলেন দুর্গার স্বামী। স্ত্রীকেও জোর করে মদ্যপান করানো হয়েছিল সেই রাতে বলে অভিযোগ। এরপরই দু’জনের মধ্যে প্রবল বচসা শুরু হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, মদের ঘোরে স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন স্বামী। অভিযোগ, এরপর দেহটিতে খণ্ড খণ্ড করে কাটা হয়। ভারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘষে দেহকে ৯ খণ্ড করা হয়েছিল। একটি প্লাস্টিকে, যুবতীর মাথা, বুক, পেট, হাতের কিছু অংশ বাদে, ২ টি পা পোরা হয়। বাকি অংশ অন্য প্লাস্টিকে পোরা হয়। তবে দেহের বাকি অংশ কোথায় তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মোট ৩ টি কালো প্লাস্টিকে মোড়ানো ছিল মহিলার দেহ। জানা যাচ্ছে, বিয়ের পর থেকেই মদের আসক্তি বাড়তে থাকে দুর্গার স্বামীর। তাঁকে রিহ্যাবেও পাঠানো হয়েছিল বলে খবর। তবে এক্ষেত্রে দুর্গার দেওরের ভূমিকা কী ছিল, বা দুর্গার সঙ্গে তাঁর স্বামীর ভাইয়ের সম্পর্ক কীরকম ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে কোনও টাকার লেনদেন ঘিরেই কি এই হত্যাকাণ্ড?