Health Secret: ‘আমি ওদের সবার চেয়ে বয়সে ছোট’, এটা ভাবলেই নাকি সুস্থ থাকেন মহিলারা, বলছে গবেষণা

বর্তমানে হয়তো তাঁর বয়স ৪৬ বছর। তিনি কিন্তু তাঁর বয়স কমিয়ে ১৮ বছর করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কম বয়সীদের দেখলে নিজেকেও কম বয়সী ভাবছেন। এতে কিন্তু ক্ষতি কিছু হচ্ছে না। অপরদিকের মানুষটি একটু বিরক্ত হলেও আদতে স্বাস্থ্যের দিক থেকে বেশ ভালোই থাকছেন নিজেকে অল্পবয়সী ভাবা ব্যক্তিটি। গবেষণা তাই-ই বলছে।

আসলে, বার্ধক্য প্রত্যেকের জীবনেই স্বাভাবিক এবং অনিবার্য। গবেষণা পরামর্শ দেয় যে কিছু সাধারণ অভ্যাসের মাধ্যমে বার্ধক্য কমানো এবং দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা সম্ভব। যাইহোক, আপনি কীভাবে নিজের জীবনে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তা আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করবে। হ্যাঁ, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অফ ওকলাহোমা গবেষকদের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে যাঁরা বিশ্বাস করেন যে তাঁরা তাঁদের সমবয়সীদের চেয়ে কম বয়সী তাঁদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জুলি ওবার অ্যালেনের নেতৃত্বে এই গবেষণায় ৫০ থেকে ৮০ বছর বয়সী ২,০০০ লোক জড়িত ছিলেন। গবেষণার অংশ হিসাবে, অন্যদের সঙ্গে তুলনা টেনে তাঁদের বয়স, চেহারা, ইতিবাচক বা নেতিবাচক বয়স-সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, বেশিরভাগ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদেরকে তাঁদের সমবয়সীদের চেয়ে কম বয়সী বলে বিশ্বাস করেছিলেন।

  • পুরুষদের তুলনায় বেশি মহিলারা নিজেদের অল্পবয়সী ভাবেন

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই বিশ্বাস বেশি এবং এই কারণেই তাঁদের বয়স কম দেখায়। সাধারণত, মহিলারা মনে করেন যে তাঁরা অন্যদের চেয়ে কম বয়সী। যাইহোক, শুধুমাত্র তরুণ দেখায় ফোকাস করলেই সেটি যে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি হবে, তা কিন্তু নয়।

এটি বিশ্বাস করা হয় যে ব্যায়াম এবং ভাল খাদ্যের মতো স্বাস্থ্যকর অনুশীলনগুলিতে মনোনিবেশ করা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য এবং কর্মক্ষমতা উভয়ই বজায় রাখবে। বয়স নিয়ে মাপকাঠি তৈরি করাও কিন্তু বৈষম্যের আরেকটি রূপ। কারণ এটি প্রায়শই ভেদাভেদ নিয়ে আসে। যেমন অল্প বয়সীদের মনে হয় যে বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন না। অনেকেই আবার কম বয়সেই নিজেরা অনেক বড় গিয়েছেন ভেবে ধূমপানের মতো নেতিবাচক স্বাস্থ্য অভ্যাসের দিকে ঝুঁকছেন। এই সমস্ত বিষয় কাটিয়ে উঠবে হবে। তবেই সার্বিক সুস্থতা আসবে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩৫ শতাংশ ব্যক্তিই নাকি নিজেদের কম বয়সী দেখাতে অর্থ ব্যয় করেছেন। সম্ভবত যাঁরা কমবয়সী দেখাতে সফল হয়েছে তাঁরা কম বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে… কিন্তু সেই একই ব্যক্তিরা অন্যের বার্ধক্য নিয়ে বেশি অস্বস্তি বোধ করেছেন। সবমিলিয়ে গবেষণা এটাই বলছে যে, বার্ধক্যকে ইতিবাচকভাবে দেখে, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি বজায় রাখলে সার্বিক স্বাস্থ্যের মঙ্গল নিশ্চিত।