Modi on Destroying Enemy: ‘নতুন ভারত শত্রুর ঘরে ঢোকে আর তাদের মারে’, পাকিস্তানে ২০ হত্যা ঘিরে চর্চার মাঝেই বার্তা মোদীর

লোকসভা ভোট ঘিরে দেশ জুড়ে চড়ছে প্রচারের পারদ। গতকাল কোচবিহারে হাইভোল্টেজ সভার পর আজ শুক্রবার রাজস্থানের চুরুতে সভা করেন মোদী। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজস্থানে বিজেপির প্রচার সভা থেকে ফের একবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শত্রু দমন ইস্যুতে ঝোড়ো বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সদ্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর থেকে পাকিস্তানে প্রায় ২০ জনকে হত্যা করার নেপথ্যে ছিল ভারত। বিদেশি মিডিয়ার এই দাবি যদিও খারিজ করে দিয়েছে এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক। ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই রিপোর্টকে সরাসরি ভিত্তিহীন বলছে। এদিকে, এই বিষয়ে চর্চার মাঝে এদিন রাজস্থানে বিজেপির প্রচার সভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার শত্রুনিধন নিয়ে রেখেছেন বক্তব্য। তিনি দেশের উন্নয়নের খতিয়ান দিতে গিয়ে সেনায় ‘ওয়ান ব়্যাঙ্ক ওয়ান পেনশনের’ উল্লেখ করেন। মোদী বলছেন, ‘ আমরা ওয়ান ব়্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন দিয়েছি, সেনাকে ছাড় দিয়ে দিয়েছি সীমান্তে পাল্টা জবাব দিতে… শত্রুরা জানে এটা মোদী, আর এটা নতুন ভারত… নতুন ভারত শত্রুর ঘরে ঢোকে আর তাদের মারে।’ মোদী এদিনের ভাষণে বলেন, ২০১৯ সালে ভারত যখন বালাকোট স্ট্রাইক করছিল, তখন তিনি এই চুরুতে সভা করতে এসেছিলেন, আর সেই সময় বলেছিলেন, ‘এই দেশকে শেষ হতে দেব না।’ উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মাটিতে ২০ জনের হত্যা ঘিরে সদ্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, এই ২০ জনকে পাক মাটিতে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। এর নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে বলেও দাবি করেছে রিপোর্ট। রিপোর্টে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন অফিসার দাবি করেন, ওই ২০ জনকে হত্যার নির্দেশ সরাসরি দিল্লি থেকে এসেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতরা বেশিরভাগই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের দ্বারা নিহত হয়েছে। পাকিস্তানি গোয়োন্দাদের দাবি, এর নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দাবিভাগের স্লিপার সেল কাজ করছে। যদিও গার্ডিয়ানের রিপোর্টের সমস্ত দাবি খারিজ করেছেন খোদ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।

(Congress on LGBTQ+ community:ক্ষমতায় এলে সমকামী বিয়েতে আইনি মান্যতা দিতে লড়বে কংগ্রেস, ভোট-প্রতিশ্রুতি রাহুলদের ) 

এদিকে, শুক্রবারের সভায় মোদী কংগ্রেসকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বিমান হামলা এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করি, কংগ্রেস আমাদের বাহিনীর বীরত্বের প্রমাণ চেয়েছিল… বাহিনীর অপমান এবং দেশ ভাগ করা কংগ্রেসের বৈশিষ্ট্য।’ মোদী বলেন, বিরেধীরা যখন ‘ক্ষমতায় ছিল তখন তারা ফোর্সের হাত বেঁধে রেখেছিল। আমাদের দেশ যখন হামলার মুখে পড়ত, তখন তারা ফোর্সকে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়পত্র দেয়নি।’