Live-in Relationship: ভিন্ন ধর্মের যুগল বিয়ের মতো লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে পারবেন না, জানাল হাইকোর্ট

এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারীদের বিয়ের মতো লিভ-ইন রিলেশনশিপ আদালত অনুমোদন করতে পারে না। এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আদালত তরুণীকে আইন অনুসারে বিয়ে সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত লখনউয়ের প্রাগ নারায়ণ রোডের মহিলা সুরক্ষা হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ও বিচারপতি নরেন্দ্র কুমার জোহরির ডিভিশন বেঞ্চ অযোধ্যার এক দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। আবেদনকারীরা আইপিসির ৩৬৩ এবং ৩৬৬ ধারায় যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর বাতিল করার নির্দেশনা চেয়েছিলেন।

আবেদনকারীদের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধু এবং তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। ওই তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তাই তিনি ঘর ছেড়ে নিজের ইচ্ছায় বসবাস শুরু করেন ওই যুবকের সঙ্গে। বর্তমানে এই দম্পতি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন যা আইনত অনুমোদিত ছিল। তাই উক্ত এফআইআর খারিজ করার জন্য যেতে পারে বলে জানান আইনজীবী।

আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, দুই আবেদনকারীই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। ইউপি নিষিদ্ধকরণ ধর্ম ধর্মান্তর আইন, ২০২১-এর ৮ ও ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ধর্মান্তরের আবেদন করেননি তাঁরা। তাই যেহেতু তাঁরা আইনের বিধানের বিরুদ্ধে সম্পর্কে ছিলেন, তাই এফআইআর খারিজ করা যায়নি।

আদালত বলেছে যে উভয় আবেদনকারীই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছিলেন এবং আইন অনুসারে তাদের বিবাহ সম্পন্ন করেননি, বরং তারা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। পূর্বোক্ত আইন, ২০২১-এর ৩(১) ধারায় বৈবাহিক বন্ধনের প্রকৃতির এই ধরনের লিভ-ইন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং বিয়ের মতো লিভ-ইন রিলেশনশিপে আবেদনকারীদের এই ধরনের বসবাসের অনুমোদন আদালত দ্বারা অনুমোদিত হতে পারে না। সেই আবেদন খারিজ করে আদালত আরও বলেছে, আইন মেনে বিয়ে না করলে এফআইআর খারিজ করা যাবে না। তবে, আদালত আবেদনকারীদের আইনি বিধান অনুসারে আবেদন করার বা তাদের জীবনের কোনও হুমকি বা অপরাধ হিসাবে বিবেচিত কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের করার স্বাধীনতা দিয়েছে।

এরপরই তরুণীর আবেদনের ভিত্তিতে আদালত রাজ্যের কৌঁসুলিকে নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না তাঁর ইচ্ছামতো আইন মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত লখনউয়ের প্রাগ নারায়ণ রোডের মহিলা সুরক্ষা হোমে তাঁর নিরাপদে ভর্তি হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপাতত ওই যুবককে ছেড়ে হোমে যেতে হবে ওই তরুণীকে।