২০০০ মাইল পেরিয়ে মালিককে খুঁজে পেল কুকুরটি! হলিউডের ছবিও হার মানবে এই গল্পের কাছে

চার বার পুনর্জন্ম নিলেও নিজের মালিক, নিজের এক মাত্র বন্ধুকে ভোলেনি সে। ফিরে এসেছে অবশেষে। মালিক ও প্রিয় পোষ্য কুকুরকে নিয়ে এমনই একটি গল্প বানিয়েছিল হলিউড। সে ছবির নাম ছিল এ ডগস জার্নি অর্থাৎ একটি কুকুরের যাত্রা। ঠিক এমনটাই এবার ঘটে গিয়েছে বাস্তবেও। মালিকের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্পটি বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জানা গিয়েছে, মিশকা নামের একটি কুকুর, গত জুলাই মাস থেকে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নিখোঁজ ছিল, অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও আশেপাশে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। অবশেষে শহরতলির ডেট্রয়েটে ২,০০০ মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছে মিশকাকে। হ্যাঁ, হলিউডের অতিরঞ্জিত গল্পের মতো একই না হলেও কিছুটা মিল রয়েছেই। এমন কিছু ঘটেছিল, যা কিছু সিনেমাটিকই।

গল্পটি শুরু হয়েছিল, মিশিগানের স্থানীয় পুলিশ হার্পার উডসে একটি বিপথগামী কুকুরের খোঁজে বেরোনোর পর থেকে। ঘুরে বেড়ানো ওই টেরিয়ার-মিক্স কুকুরটিকে তুলে নিয়ে, পুলিশ তাকে গ্রোস পয়েন্টে অ্যানিমাল অ্যাডপশন সোসাইটিতে (GPAA) নিয়ে আসার পর জানতে পারে যে মিশকার সঙ্গে একটি মাইক্রোচিপ রয়েছে। ওই মাইক্রোচিপের মাধ্যমেই জানা গিয়েছে যে মিশকার মালিকরা ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে বাস করতেন, যেখানে তাঁকে পাওয়া গিয়েছিল তাঁর থেকে প্রায় ২,৩৪৩ মাইল দূরে। কুকুরটির এই দীর্ঘ যাত্রার পরিস্থিতি একটি রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: World Record: মানুষ নাকি কল? এক মুহূর্ত না থেমে মুখ থেকে ৪.৫ লিটার জল বের করলেন ব্যক্তি, হল বিশ্ব রেকর্ড

কাকতালীয়ভাবে, মিশকার পরিবার, হাউম্যান, মিনিয়াপোলিস, মিনেসোটায় ছুটি কাটাচ্ছিল তখন। এরপর মিশকাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ওই পরিবার ১০ ঘন্টার ড্রাইভে ওই আশ্রয়স্থলে পৌঁছোয়। মিশকার সঙ্গে যখন তাদের মালিকের দেখা হয়, আনন্দে ডগমগ করে লেজ নাড়াতে নাড়াতে মালিকের কোলে উঠে পড়ে সে। ফটোগ্রাফ এবং ভিডিয়োতে ফুটে ওঠা এই দৃশ্যটি অপরিসীম আনন্দের।

আরও পড়ুন: Humans Spread Viruses: বাদুড়-ইঁদুর নয়, মানুষই বেশি ভাইরাস ছড়ায়! গবেষণায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য

এরপর পশুচিকিত্সক দ্বারা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপের পর, মিশকা তার পরিবারের সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিরেছে। এককথায়, প্রায়শই অনিশ্চয়তা এবং প্রতিকূলতায় জর্জরিত এই পৃথিবীতে, মিশকার অসাধারণ এই গল্পটি আশা এবং আবেগের পরশ জাগিয়েছে মনে, যা আমাদের প্রিয় সঙ্গীদের সঙ্গে স্থায়ী বন্ধনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।