Home Ministery seeks report: কীভাবে NIAএর ওপরে হামলা, পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? ভূপতিনগর থানায় ফোন শাহের মন্ত্রকের

ভূপতিনগরে NIA আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় শনিবার দুপুরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই ঘটনায় এবার সরাসরি ভূপতিনগর থানায় ফোন করে রিপোর্ট দিতে বলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ১২ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাতে হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভূপতিনগর থানায় ফোন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

এদিন বিকেলে ভূপতিনগর থানায় ফোন করে ওসিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী করে NIA আধিকারিকদের গাড়িতে হামলা হল। আর হামলা রুখতে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, NIA আধিকারিকরা তল্লাশি বেরিয়েছেন শুনে পুলিশকর্মী থানা থেকে বেরোতে বেরোতেই তাদের ওপর হামলা হয়ে যায়। এর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

কী ঘটেছিল শনিবার সকালে?

শনিবার ভোরে ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে সেখানে পৌঁছয় NIA আধিকারিকদের ৩টি দল। তার মধ্যে ২টি দল যায় নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল নেতা বলাইচরণ মাইতি ও মনোব্রত জানার বাড়ি। অন্য দলটি যায় ভূপতিনগর থানায়। সেখানে গিয়ে পুলিশের নিরাপত্তা চান তাঁরা। পুলিশের তরফে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করা হয়। NIA আধিকারিকদের সঙ্গে থানা থেকে বেরনোর আগেই পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন, বলাইচরণ ও মনোব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পর NIAএর একটি গাড়ির ওপর হামলা করেছেন গ্রামবাসীরা। সূত্রের খবর, মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করতে যে দলটি গিয়েছিল তাদেরই আক্রান্ত হতে হয়েছে।

পুলিশের কী দাবি?

পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশের কিছু করার ছিল না। কারণ কাক ভোরে NIA আধিকারিকরা তল্লাশি বেরোচ্ছেন শুনেই বেরনোর জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তারই মধ্যে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে NIAএর বাকি ২টি দল।

এদিন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্ত ২ তৃণমূল নেতাকে। তাদের বুধবার পর্যন্ত NIA হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এই ঘটনায় একযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশকে দুষছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, মমতার প্ররোচনাতেই হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। ওদিকে পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ওসি থেকে ডিজিপি পর্যন্ত সমস্ত আধিকারিকের শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।