Mamata Banerjee on Bhupatinagar incident: ‘এনআইএর কী অধিকার আছে?’ ভূপতিনগরের ঘটনায় হামলাকারীদের পাশেই দাঁড়ালেন মমতা

সন্দেশখালির ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ভূপতিনগরে। ইডির পরে এবার রাজ্যে আক্রান্ত হল এনআইএ। আর এই ঘটনায় কার্যত হামলাকারীদের পাশেই দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে তাঁর যুক্তি, মধ্যরাতে গ্রামে অচেনা কাউকে দেখলে গ্রামবাসীরা যা করে থাকেন, এনআইএ তদন্তকারীদের সঙ্গেও গ্রামবাসীরা সেটাই করেছেন। আজ রায়গঞ্জে এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, কেন এনআইএ রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়েছিল? তাঁর আরও প্রশ্ন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে কি এনআইএ অভিযানে গিয়েছিল? (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীর সঙ্গে দুর্বব্যবহার পুলিশের, ছেঁড়া হল সরকারি কর্মীর পোশাক)

আরও পড়ুন: AI ব্যবহারে ভারতের লোকসভা ভোটে কলকাঠি নাড়তে চায় চিন, বিস্ফোরক দাবি মাইক্রোসফটের

আজ ভূপতিনগরের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মাঝরাতে গ্রামে অচেনা কাউকে দেখলে গ্রামবাসীরা যেটা করে থাকেন, এনআইএ-র লোকজনের সাথেও গ্রামবাসীরা সেটাই করেছেন। ভোটের মুখে কেন ওরা লোকজনকে গ্রেফতার করছে? বিজেপি কী ভেবেছে, ওরা সব বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যাবে? এনআইএর কী অধিকার আছে? ওরা বিজেপিকে সাহায্য করতেই এমন কাজ করছে। আমরা গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে বিজেপির এই নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আবেদন করছি।’ (আরও পড়ুন: ‘সিঙ্গুরে ফিরতে টাটা ১০০% আগ্রহী’, ভোটের আবহে শিল্পায়ন নিয়ে উঠল বড় দাবি)

আরও পড়ুন: হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রো নিয়ে উঠছে গুরুতর অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে কড়া কর্তৃপক্ষ

এদিকে ভূপতিনগর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। তাঁর কথায়, এটা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ। এর আগে সন্দেশখালি কাণ্ডেও প্রাথমিক ভাবে এই কথাই বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। আজকের পোস্টে তৃণমূল নেতা লেখেন, ‘ভূপতিনগরের ঘটনা অনভিপ্রেত। কিন্তু, এর পেছনে বিজেপির রাজনীতি ও প্ররোচনা। যেহেতু মানুষ জানেন যে বিজেপি নেতারা এনআইএ-র সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল কর্মীদের তালিকা দিয়ে এসেছিলেন, তাই সবাই চক্রান্তটা জানেন। এটা স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ। আদালতকে সামনে রেখে তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে এনআইএ-কে দিয়ে এলাকা থেকে সরাতে চাইছে বিজেপি। মানুষ বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে গোলমাল করাতে চাইছে।’

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূপতিনগরে আজ এনআইএ তদন্তকারীদের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের বিরুদ্ধে বেআইনি বাজি কারবারের অভিযোগ উঠে এসেছিল তখন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ। সেই তদন্তের সূত্রে ভূপতিনগরে গিয়েই আজ আক্রান্ত হন এনআইএ তদন্তকারীরা। ভূপতিনগরের তদন্তে নেমে এক সপ্তাহ আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের আট জন নেতাকে তলব করেছিল এনআইএ। জানা যায়, নবকুমার পাণ্ডা, মিলন বার, সুবীর মাইতি, অরুণ মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, বলাইচরণ মাইতি, অনুব্রত জানা এবং মানবকুমার বড়ুয়াকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই নোটিশে সাড়া দেননি তৃণমূল নেতারা। এই আবহে এনআইএ তদন্তকারীরা ভূপতিনগরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই নাকি বিক্ষোভের মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। এদিকে হামলায় দুই এনআইএ অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।