Arabul Islam: বিরোধীরা নয়, ফাঁসিয়েছে দলেরই নেতা, আদালতে তার নামও বলে দিলেন আরাবুলের আইনজীবী

পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ করে দায়ের মামলায় বিস্ফোরক দাবি করলেন ভাঙড়ের গ্রেফতার তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের আইনজীবী। হাইকোর্টে তাঁর দাবি, কোনও বিরোধী দল নয়, আরাবুলকে ফাঁসিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। তবে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে তৃণমূলের অন্দরের পিসি – ভাইপো লবির লড়াইয়ের বলি হয়েছেন আরাবুল।

খুনের মামলায় গ্রেফতার হন আরাবুল

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের সময় গত বছর ১৫ এপ্রিল ISF কর্মী মইউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় আরাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন তদন্তকারীরা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে আরাবুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। লোকসভা ভোটের আগে আরাবুলের গ্রেফতারিতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও হতবাক হয়ে যান। আরাবুলের অনুপস্থিতিতে ভাঙড়ে লোকসভা ভোটের সমীকরণ কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলতে থাকে।

এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করেন আরাবুল। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার আরাবুলের বিরুদ্ধে রাজ্যে মোট কতগুলি FIR রয়েছে আর তার কতগুলিতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তা জানতে চান বিচারপতি। আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে আদালতে এই তথ্য জমা দিতে বলেন। ওদিকে আরাবুলের আইনজীবী দাবি করেন, শওকত মোল্লার ইন্ধনেই আরাবুলের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুয়ো মামলা করেছে পুলিশ।

ভাঙড়ে শেষ আরাবুল জমানা?

তবে রাজনৈতি মহলের একাংশের মতে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের হাত মাথায় না থাকলে শওকতের পক্ষে আরাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করানো সম্ভব নয়। তৃণমূলের অন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শওকত মোল্লা। ওদিকে একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য ছিলেন আরাবুল। কিন্তু বয়স বাড়তে তাজা বুলের আর পুরনো তেজ নেই। ফলে ভাঙড়ের মতো উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা ধরে রাখতে শওকতকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শওকতকে তেঁতো ওষুধের মতো গিলে হাসিমুখে দলের হয়ে কাজ করে গিয়েছিলেন আরাবুল। কিন্তু তলে তলে ভাঙড়ে শওকতের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভের চোরাস্রোত ছিলই। তার জেরেই লোকসভা ভোটের আগে আরাবুলকে জেলে ভরা হয়েছে বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের।

আরাবুলের অনুপস্থিতিতে লোকসভা ভোটে ভাঙড়ে তৃণমূল কী ভাবে সংগঠন সাজায় সেদিকে নজর থাকবে সবার। যাদবপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত এই জনপদে গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিল ISF. তার পর থেকে হিংসায় বিরাম নেই ভাঙড়ে।