Matua Thakurbari Clash Latest Update: মমতাবালা ও তাঁর মেয়েকে ‘শারীরিক নিগ্রহের’ অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে!

মমতাবালা ঠাকুর এবং তাঁর মেয়েকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বড়মা বীণাপানিদেবীর ঘর ‘দখল’ করাকে কেন্দ্র করে গতরাত থেকেই ধুন্ধুমার কাণ্ড গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে। মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নারী সশক্তিকরণের কথা বলেন, সেখানে তাঁরই ‘পরিবারের সদস্য’ এক মহিলার ওপরে অত্যাচার করছেন। যদি আমার মতো এক রাজ্যসভার সাংসদের সঙ্গে এটা হয়, তাহলে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হবে?’ এদিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, রাতে যখন শান্তনু ঠাকুর তালা ভেঙে বড়মার ঘরে ঢোকেন, তখন তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। বড়মার ঘরে জুতো পরে ঢোকা হয় বলেও দাবি মমতাবালা ঠাকুরের। এদিকে শান্তনু ঠাকুর, তাঁর বাবা সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গাইঘাটা থানায়। (আরও পড়ুন: আশঙ্কায় পরিণত উল্লাস, ‘বাংলাদেশের নথি দিতে পারব না’, CAA নিয়ে কী বলছে ঠাকুরনগর?)

আরও পড়ুন: ‘মানুষ একটু ভয় পাচ্ছে, কিন্তু…’, সিএএ নিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি মতুয়া গড়ের BJP নেতা

আরও পড়ুন: ‘মানুষ একটু ভয় পাচ্ছে, কিন্তু…’, সিএএ নিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি মতুয়া গড়ের BJP নেতা

এদিকে আজ সকাল থেকে বড়মার ঘরের সামনে ধরনায় বসেছেন মমতাবালা ঠাকুর। ঠাকুরবাড়িকে ‘অপবিত্র’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। শান্তনুর বিরুদ্ধে মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্য, ‘আজ তাঁরা এখানে অধিকার দেখাচ্ছে। অধিকার থাকতেই পারে। কিন্তু আমি কী অন্যায় করেছি? আমি তাহলে আমার বাচ্চাগুলোকে নিয়ে কোথায় যাব? কীভাবে থাকব? বিজেপির ক্যাডাররা লাঠি নিয়ে ঘুরছে। বাড়িতে এখন হরিনাম নেই। শুধু শোনা যায় জয় শ্রী রামের স্লোগান… আমিও তো রাজনীতি করি। ঠাকুরবাড়িতে কোনও স্লোগান তো বাড়িতে দিই না।’ মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে সেই বাড়িতে থাকেন। মমতাবালার বক্তব্য, ‘বড়মা বেঁচে থাকা অবস্থায় কেন ওরা ঘরে দখল নিতে আসেনি। কেনই বা শান্তনু ঠাকুরদের জন্ম এই বাড়িতে হয়নি? কারণ আমার শ্বশুরমশাই প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ওদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছিল।’ (আরও পড়ুন: এই সপ্তাহে ৫ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক! পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা কি পাবেন লম্বা ছুটি?)

আরও পড়ুন: ভারত পেটের খিদে মেটাতেই তেরঙ্গার ‘অপমান’ মুইজ্জর দলের নেত্রীর!

আরও পড়ুন: হবে পুরনো নজিরের পুনরাবৃত্তি, শুরু ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশন তৈরির তোড়জোড়

এদিকে গতকাল ঠাকুনগরকাণ্ডে শান্তনুর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করে, ঠাকুরবাড়িতে মন্দিরে জুতো পরেই প্রবেশ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই অভিযোগের পক্ষে একটি ভিডিয়ো (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দেখা গিয়েছে হলুদ জামা পরিহিত শান্তনু ঠাকুর একটি চেয়ারে বসে আছেন। তাঁর সামনেই সম্ভবত প্রণামীর থালা। আর সেখানে একজন জুতো পরে দাঁড়িয়ে আছেন চৌকাঠের পাশেই। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে তৃণমূল লেখে, ‘আজ বিজেপির সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সামনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী জুতা পরে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করে। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িকে অপবিত্র করা হয়। সেই সময় দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন শান্তনু। এটাই অবশ্য তাঁর প্রথম অপরাধ নয় – এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঠাকুরবাড়িতে দর্শন করতে গিয়েছিলেন এবং জোর করে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তখনও এই একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভাবাবেগের প্রতি কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই শান্তনুর। এমন একজন মানুষকে জমিদার বলে অভিহিত করা ছাড়া আর উপায় নেই!’ অপর এক বার্তায় তৃণমূল লেখে, ‘শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম বার্ষিকীর একদিন পরে শান্তনু ঠাকুর এভাবে সম্মান জ্ঞাপন করলেন তাঁকে। আবারও বিজেপি এবং মোদীর পরিবারের বাংলা বিরোধী নোভাব সামনে এসেছে। বাংলার প্রতি তাঁদের কোনও সম্মান নেই।’