Summer Vacation Tour: হাজার ছয় টাকায়, ২ রাত ৩ দিনে ঘুরে নিন দার্জিলিং! দেখুন কীভাবে করবেন পুরো প্ল্যান

অনেক বাঙালির কাছেই তাঁদের সবচেয়ে পছন্দের শৈলশহর হল দার্জিলিং। যতবার যাওয়া হোক, কিছুতেই যেন আর মন ভরে না। আপনারও যদি দীপুদা (দীঘা, পুরি, দার্জিলিং) ঘুরে ঘুরেও অরুচি না ধরে থাকে, তবে এবারের গরমের ছুটিতে চলে যান কাঞ্চনজঙ্ঘা আর টয়ট্রেনের দেশে। 

চার জনের একটা গ্রুপ করুন। তাহলে গাড়ির খরচ সঠিকভাবে ভাগাভাগি হবে। আর বড় গ্রুপ হলে ৭-৯জন। এবার কেটে ফেলুন সবার আগে নর্থবেঙ্গলগামী যে কোনও ট্রেনের টিকিট। আজকাল অনেক পর্যটক বাসে করেও যাচ্ছেন। ধর্মতলা থেকে চলা সেই বাসেও যেতে পারেন। স্লিপার বাসের টিকিট একটু বেশি। তাই কম বাজেটে ঘুরতে চাইলে সাহায্য নিন সেমি স্লিপার ভলভো বাসের। 

ছোট গ্রুপ হলে দার্জিলিং উঠতে সাহায্য নিতে পারেন শেয়ার গাড়িরও। আর বাজেটের কোনও সমস্যা না থাকলে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে উঠুন টয়ট্রেনে করে। নিসন্দেহে এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে আপনার জন্য। 

কোথায় হোটেল নেবেন: 

একদম ম্যালের উপরে হোটেলের দাম বরাবরই বেশি। আস্তাবলের পাশের রাস্তায় অনেক কম দামের হোটেল থাকে। যেখানে দিনপ্রতি ঘরভাড়া থাকে ৭০০-১০০০ টাকা। আরামসে ৩জন থাকতে পারবেন একটি ঘরে। মহাকাল মন্দির চলে গিয়েছে যে রাস্তাটি তার ঠিক নীচেও একটি রাস্তা রয়েছে। সেখানেও বাজেটে হোটেল পাবেন। আবার ঘড়িঘরের উলটো দিকের গলিতেও কম দামে হোটেল পাওয়া যায়। 

কীভাবে ঘুরবেন?

প্রথমদিন পৌঁছতে বেশ বেলা হবে। রাস্তায় লাঞ্চ করা থাকলে ফ্রেশ হয়ে চলে আসুন ম্যালে। ঘুরে নিন মহাকাল মন্দির। তারপর বিকেলবেলা ঘোরাঘুরি করুন ম্যালে। সেখানে নানা ধরনের মুখোরোচক খাবার বিক্রি হয় সন্ধের পর থেকে। চাউমিন, মোমো, চিলি চিকেন… কত না খাবার! খুব কম খরচে রাতের ডিনার সেরে নিন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে রাত ৮টার মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে পেটপুজো। 

কেভেনটার্সের উলটো দিকের কাউন্টার থেকে দার্জিলিং সাইট সিনের শেয়ার গাড়িতে সিট বুক করতে পারেন। আর একটা বড় গ্রুপে গেলে গাড়ি বুক করে ফেলুন একটু দরদাম করে। পরদিন ভোর রাতে ড্রাইভারের দেওয়া সময় মেনে সবার আগে চলে আসুন টাইগার হিলে। 

মন ভরে দেখে নিন কাঞ্চনজঙ্ঘা আর সূর্যোদয়। তারপর সেখান থেকে বাতাসিয়া লুপ। তারপর ঘুম মনেস্ট্রি ঘুরে, দেখে নিন দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত চায়ের বাগান। তারপর রক গার্ডেন। এরপর লাঞ্চ সেরে ঘুরে নিন দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা, পিস প্যাগোডা, আর হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্ট্রিটিউট। 

কোথায় কোথায় খাবেন দার্জিলিংয়ে:

পরদিন সকালে চেষ্টা করুন ক্যাভেন্টার্সে ব্রেকফাস্ট করতে। ওদের সেই বিখ্যাত প্ল্যাটার দাম বেশি, তবে সহজেই ২-৩জন শেয়ার করে খেতে পারবেন। এছাড়াও খাবার খেতে পারেন কুঙ্গাতে। অসাধারণ তিব্বতী ও চাইনিজ খাবার পাবেন। বেশ লম্বা লাইন পড়ে এই রেস্তোরাঁর বাইরে। তাই হাতে সময় নিয়ে যাবেন। এত চাহিদা থাকে এই রেস্তোরাঁর যে সন্ধে ৫-৬টার মধ্যেই সব খাবার শেষ হয়ে যায়। 

এছাড়াও নতুন শুরু হওয়া দার্জিলিং কফি হাউজ, গ্লেনেরিজও খেতে পারেন। লোকাল বেকারির কেকও কিন্তু খুব সুস্বাদু। চেখে দেখতে ভুলবেন না। আর বাচ্চারা সঙ্গে থাকলে, ম্যালে চড়তে পারেন ঘোড়া।