‘কানেক্টিভিটির উপকার কী তা স্থানীয় মানুষ জানে না’

এ অঞ্চলের কানেক্টিভিটি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং স্থানীয় মানুষ জানে না কানেক্টিভিটির কারণে তাদের কী কী মঙ্গল হতে পারে—এই মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। বুধবার (এপ্রিল ১০) ভারতের সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক প্রগ্রেস আয়োজিত এক ওয়েবিনারে  তিনি একথা বলেন।

শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কানেক্টিভিটি অনেক দূর অগ্রসর হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটি কিছুটা স্থিমিত হয়েছে বলে মনে হয়। দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১৫টি সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেগুলো বাস্তবায়নের গতি কিছুটা কমে এ‌সেছে।

বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে চায় এই কানেক্টিভিটি কাদের উদ্দেশ্য পূরণ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কানেক্টিভিটি একক কোনও বিষয় নয়। বরং দুই দেশের বৃহত্তর সম্পর্ক এবং উভয় দেশের মানুষের উপলব্ধির একটি অংশ।’

আমার মনে হয় আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে মানুষের উপলব্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার সময় হয়েছে, এই কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা, ভবিষ্যৎ ও নিজস্ব মঙ্গলের দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ কানেক্টিভিটিকে বিবেচনা করে।’

শহীদুল হক বলেন, ‘এখন সবার প্রশ্ন হচ্ছে কানেক্টিভিটি কাদের জন্য করা হচ্ছে এবং কে করছে। এটি কী শুধু বাণিজ্যের জন্য নাকি এর মাধ্যমে জনগণের মঙ্গল হবে। এটি বিবেচনায় নিতে হবে।’

বাংলাদেশে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, ভারত সবসময় সীমান্তকে নিরাপত্তার দৃষ্ঠিকোণ থেকে দেখেছে।

বাংলাদেশে ১৯৯৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত নিজের প্রথম পোস্টিং এর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ওই সময়ে ট্রানজিট, ট্রান্সপোর্ট করিডর বা কানেক্টিভিটি শব্দগুলো কেউ উচ্চারণ করতো না। ওই সময় থেকে আমরা এখন একটি অবস্থায় পৌঁছেছি যেখানে যাত্রী ও পণ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে এবং এর একটি ইতিবাচক প্রভাব আছে।