Allahabad High court: নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিলেই নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলা বাতিল হবে না-হাইকোর্ট

পকসো মামলায় সম্প্রতি তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার মধ্যে পারস্পরিক আপোস হলেও এই সংক্রান্ত মামলা খারিজ করা যায় না।’ আদালতের মতে, আলোচনা সহ সমস্ত পর্যায়ে নাবালিকার সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ। এই বলে আবেদন খারিজ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সমিত গোপালের একক বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: নাবালিকা পরিচারিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অসমে গ্রেফতার ডিএসপি

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার বিলারিগঞ্জ থানায় ধর্ষণ সহ পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। প্রথমে বিশেষ পকসো আদালতে মামলার শুনানি হয়। অভিযুক্ত ফৌজদারি বিচারে স্থগিতাদেশ চেয়ে এবং সমন জারি করা নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। হাইকোর্টে দুই পক্ষের মধ্যে আপোসের বিষয়টি উল্লেখ করে অভিযুক্ত।

তবে সেই আবেদনের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল যে সে এক নাবালিকা মেয়েকে ৩ বছর ধরে ধর্ষণ করেছে। সেই সময় মেয়েটির বয়স ছিল ১৫ বছর অর্থাৎ নাবালিকা। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের কথা উল্লেখ করে হাইকোর্ট জানায়, দুপক্ষের মধ্যে আপোস হয়েছে এই বলে পকসোর মতো একটি বিশেষ আইনের অধীনে অভিযোগের ক্ষেত্রে মামলা বাতিল করা যাবে না।

উল্লেখ্য, এই মামলায় আগে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ধারায় চার্জশিট দাখিল করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অপরাধ খুঁজে পাওয়ার পরে তাকে তলব করেছিল। তবে হাইকোর্টেও স্বস্তি পেল না অভিযুক্ত। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, পকসো আইনের অপরাধের মতো বিশেষ আইনে মামলা আপোসের ভিত্তিতে বাতিল করা যাবে না। 

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়কে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে অপরাধীরা তাদের প্রভাব, অর্থ এবং পেশী শক্তি ব্যবহার করে শিশুদের যৌন নির্যাতন করে আপোসে বাধ্য করে। এই ধরনের বিশেষ ক্ষেত্রে হাইকোর্টের এই নির্দেশ বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে আইনজীবী মহল।

আদালত বলেছে, যে পকসো আইনের অপরাধে নাবালিকার সম্মতি বৈধ নয়। তা ফৌজদারি কার্যধারা বাতিল করার জন্য যথেষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের কথা উল্লেখ করে আদালত বলেছে, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধ আপোসের ভিত্তিতে প্রত্যাহার করা যাবে না। এটা কোনও ব্যক্তিগত অপরাধ নয়। এই ধরনের অপরাধ সমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।