National Pet Day 2024: ১১ এপ্রিল জাতীয় পোষ্য দিবস, পোষা বন্ধুর যত্ন নেবেন কীভাবে, জানুন দিনটির ইতিহাস ও তাৎপর্য

আপনার বাড়িতে কি কোনও পোষ্য সঙ্গী আছে? দিনের অনেকটা সময় কাটান তার সঙ্গে। পোষ্যের বাবা-মা হওয়া বোধহয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক কাজগুলির মধ্যে একটি। কারণ আপনার পোষ্য বন্ধুর জগত জুড়ে কিন্তু একমাত্র আপনি। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনও নিঃস্বার্থ বন্ধুর সঙ্গ পেলে জীবনের মানেই কেমন যেন বদলে যায়, তাই না? ১১ এপ্রিল, জাতীয় পোষ্য দিবস।

জাতীয় পোষ্য দিবস

ধীরে ধীরে পোষ্য হয়ে ওঠে আপনার সন্তানের মতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, পোষ্য তার মালিকের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে, তাদের বিভিন্ন আচার-আচরণ মালিকের সামগ্রিক শরীর-স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। আপনার পোষা প্রাণীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক উদযাপন করার জন্য কলিন পেইজ, যিনি একজন প্রাণী কল্যাণ অ্যাডভোকেট এবং বিশেষজ্ঞ। প্রতি বছর ১১ এপ্রিল জাতীয় পোষ্য় দিবস পালন করা শুরু করেন তিনি। তারপর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর দিনটি পালন করা হয়।

আরও পড়ুন: হাওড়া ব্রিজে রুহ বাবা, বুধে শ্যুটিং ভিক্টোরিয়ার সামনে, কলকাতার প্রেমে বুঁদ কার্তিক আরিয়ান

আরও পড়ুন: ত্রিম্বকেশ্বর, ঘ্রুষ্ণেশ্বর মন্দিরে মেয়ে রাশার সঙ্গে পুজো দিলেন রবিনা

জাতীয় পোষ্য দিবসের শুরু কীভাবে

বিখ্যাত প্রাণি কল্যাণ অ্যাডভোকেট এবং লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ কলিন পেইজ ২০০৬ সালে জাতীয় পোষ্য দিবস শুরু করেন। এই দিনটি একদিকে যেমন জনসচেতনতা তুলে ধরে এবং আমাদের জীবনে তাদের ভূমিকা বোঝায়। কিন্তু শুধু ঘরের পোষ্যদের জন্যই দিনটি পালন করা হয়, তা নয়। পথকুকুর বা স্ট্রিট অ্যানিম্যালদের জন্যও দিনটি উৎসর্গীকৃত। বর্তমানে দিনটি প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হয় তবে অন্যান্য দেশেও এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

আরও পড়ুন: মাধুরী থেকে শ্রদ্ধা, মেতে উঠেছে গুড়ি পাড়ওয়ায়, উৎসব কেমন কাটছে বলি সেলেবদের, দেখুন ছবি

স্ট্রিট অ্যানিম্যালদের নির্দিষ্ট কোনও আশ্রয় থাকে না। তারা প্রতিনিয়ত অস্বিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যায়। অনেকেই খুব সংকটে থাকে, অবহেলায় থাকে। ফলে এই সব প্রাণীকে রক্ষা এবং এদের নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার বিষয়টিও এই দিনটির সঙ্গে জড়িত।

কীভাবে পালন করবেন?

জাতীয় পোষ্য দিবসের সেরা বৈশিষ্ট্য হল, এটি উদযাপনের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। যে কোনও ভাবে আপনার পোষ্য বন্ধুর সঙ্গে দিনটি পালন করতে পারেন। কারণ, পোষ্যরা অল্পেই খুশি। আর প্রাণীদের প্রতি সমবেদনা দেখানোও অনেক সহজ।

কীভাবে যত্ন নেবেন

মনে রাখবেন পোষ্য আপনার পরিবারেরই অংশ। আপনার সন্তানসম। তাই কোনওমতেই ওদের অবহেলা করা চলবে না। প্রতিদিন নিয়ম করে আপনার পোষ্যকে কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন।

-বিশেষজ্ঞদের মতে, পোষা প্রাণী থাকা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে৷ কারণ তাদের বিভিন্ন আচরণ আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। অদ্ভুতভাবে তারা সব চাপ কমিয়ে দেয়।

-মনে রাখবেন পোষ্য আপনার পরিবারেরই অংশ। আপনার সন্তানসম। তাই কোনওমতেই ওদের অবহেলা করা চলবে না। প্রতিদিন নিয়ম করে আপনার পোষ্যকে কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন।

-আপনি যেমন প্রতি মাসে নিজেকে গ্রুম করেন, পার্লারে যান, তেমনই পোষ্যদেরও গ্রুমিং প্রয়োজন। প্রয়োজনে ওদের লোম ছাঁটা দরকার। সাবান-শ্যাম্পু (যা ওদের জন্য উপযুক্ত) দিয়ে স্নান করাতেও হবে।

-পোষ্যের গায়ে অনেকসময় বিভিন্ন ধরনের পোকা বাসা বাঁধে। এর থেকে বড় রোগ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন। অল্প সমস্যা দেখা দিলেই যত্ন নিতে হবে। সঠিকভাবে পরিচর্যা প্রয়োজন।

-পোষ্যদের বাড়ির বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া দরকার। ওদের সঙ্গে খেলাধুলোও করতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রখর রোদ কিংবা তুমুল বৃষ্টি দু’ধরনের আবহাওয়াই পোষ্যদের জন্য খারাপ। তাই এদিকে একটু নজর রাখা প্রয়োজন।

-বিভিন্ন ভ্যাকসিন দিতে হয়। তাই আপনার পোষ্যের কখন কোন ভ্যাকসিনের প্রয়োজন, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।