Gaurbanga University: আচার্যের নির্দেশে অনাস্থা, গৌড়বঙ্গে পূর্ব VC-কেই বহাল, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল-রাজ্য সরকারের সংঘাতের আবহেই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রজতকিশোর দে’কে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে দিয়ে রজতকিশোরকেই উপাচার্য পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি। একইসঙ্গে উপাচার্যের চেম্বার সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আচার্য । সেই নির্দেশও মানল না ইসি। মঙ্গলবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি ভার্চুয়াল বৈঠক করে। তাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমন ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসিকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

আরও পড়ুন: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, জোর চর্চা

গত ৩০ মার্চ রাজ্যপাল গৌড়বঙ্গের উপাচার্যকে অপসারণের জন্য ইমেইল করেছিলেন। এরপর ১ এপ্রিল তাঁকে পদে বহাল রেখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। তারপরে গত ৫ এপ্রিল উপাচার্যের চেম্বার সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আচার্য । তবে জানা যাচ্ছে, এর পরেই এনিয়ে কী করণীয় সে সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি কমিটিকে চিঠি দেওয়া হয়। তারপর মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি ইসির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সিদ্ধান্ত রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি কমিটিতে মোট সদস্য সংখ্যা হল ১৫ জন। এর মধ্যে রাজ্যপাল এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরের মনোনীত দু’জন করে সদস্য থাকেন। সেখানে রাজ্যপালের কোনও মনোনীত সদস্য সেখানে নেই। এদিনের বৈঠকে ১০ জন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আলোচনা হয়, উপাচার্য না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম ব্যহত হবে, ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ইসি রজত কিশোরকে উপাচার্য পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। 

এরপরই এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপরে আস্থা রাখার জন্য গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’ তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপাও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিজেপি এর সমালোচনা  করেছে।