Seikh Sahjahan on CBI probe: আদালতের রায়েই আস্থা, সন্দেশখালিতে CBI তদন্ত হলে খুব ভালো হবে, বলল শেখ শাহজাহান

বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তত্ব থেকে সরে এসেছিল আগেই, এবার সিবিআই ও ED তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করল সন্দেশখালির তৃণমূলি মাফিয়া শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালিতে জমি দখল ও নারী নির্যাতনের সমস্ত অভিযোগের তদন্তভার বুধবারই সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করার সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন শাহজাহান।

CBIএ আস্থা শাহজাহানের

এদিন সাংবাদিকরা শাহজাহানের কাছে জানতে চান, সন্দেশখালির সমস্ত ঘটনায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এতে কি আপনি খুশি? জবাবে শাহজাহান বলে, ‘সিবিআই তদন্ত করলে খুব ভালো হবে।’ তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আর ED তদন্ত? জবাবে শাহজাহান বলে, ‘সব চেয়ে ভালো হবে’। একথা বলতে বলতে গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি।

গত রবিবার সাংবাদিকরা শাহজাহানকে প্রশ্ন করেছিলেন, কে আপনাকে ফাঁসাচ্ছে? নাম বলুন। জবাবে শাহজাহান বলে, ‘কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।’ যদিও শুক্রবারই সে বলেছিল, ‘আমার বিরুদ্ধে বিজেপির দালালরা চক্রান্ত করছে’।

শাহজাহানের ভোলবদল

শাহজাহানের এই ভোলবদলে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়নের মণি শাহজাহানের সঙ্গে কি তবে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে? গ্রেফতারির ঠিক আগে শাহজাহানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এর পর একে একে গ্রেফতার হয়েছে জিয়াউদ্দিন মোল্লা, দিদার বক্স মোল্লার মতো অনুগামীরা। গ্রেফতার হয়েছে তার ভাই আলমগির মোল্লা। তাছাড়া শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়ি সিল করে রেখেছে ইডি। যার ফলে সন্তানসহ শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি কার্যত ভিটেহারা। যদিও এখনো নাম না করে শাহজাহানের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আদালতের ঐতিহাসিক রায়

বুধবার এক ঐতিহাসিক রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সন্দেশখালিতে জমি দখল ও নারী নির্যাতনের যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানায় এই সংক্রান্ত ৩০টির বেশি FIR রয়েছে। সেগুলির তদন্তভার গ্রহণ করবেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এছাড়া সন্দেশখালির বাসিন্দারা এই সংক্রান্ত আরও কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি সিবিআইকে জানাতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেজন্য সিবিআইকে একটি আলাদা পোর্টাল খুলতে হবে। সেই পোর্টেলে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারবেন বাসিন্দারা। পোর্টালের প্রচার করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এছাড়া সন্দেশখালিতে স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে ১৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জানিয়েছে, এই ঘটনার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে।