তলানিতে থাকা দিল্লির কাছে থামলো লখনউর জয়যাত্রা

টানা তিন ম্যাচ জিতে সেরা চারে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। তাদের জয়রথ থামলো একেবারে তলানির দল দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। মাত্র ১৬৭ রান করে হার আটকাতে পারেনি লখনউ। তাদের মাঠে ৬ উইকেটে জিতেছে দিল্লি।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খলিল আহমেদের কাছে ধাক্কা খায় লখনউ। পরপর দুই ওভারে ভারতীয় পেসার তুলে নেন কুইন্টন ডি কক ও দেবদূত পাডিক্কালের উইকেট। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। 

তারপর কুলদীপ যাদবের স্পিন জাদুতে পরাস্ত লখনউর ব্যাটিং লাইন। দিল্লির স্পিনার অষ্টম ওভারে পরপর মার্কাস স্টয়নিস ও নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন। যদিও পারেননি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে। অবশ্য পরের ওভারে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে (৩৯) থামান কুলদীপ।

এই ধস থামে ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে। আয়ুশ বাদোনি ও আর্শাদ খান হাল ধরেন। তাদের ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে দেড়শ পার করে লখনউ। বাদোনি সর্বোচ্চ ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ রানে খেলছিলেন আর্শাদ।

কুলদীপ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান খলিল।

লক্ষ্যে নেমে সহজেই জয় পেয়ে যায় দিল্লি। ১৮.১ ওভারে তারা ৪ উইকেটে করে ১৭০ রান। 

ডেভিড ওয়ার্নার (৮) হতাশ করলেও পৃথ্বী শ ওপনিংয়ে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন। ২২ বলে ৩২ রান করেন তিনি। এরপর জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগুর্ক ও রিশাভ পান্তের ৭৭ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দিল্লি। লক্ষ্য থেকে ২৮ রান দূরে থাকতে ভেঙে যায় এই জুটি। ম্যাকগুর্ক ৩৫ বলে ৫৫ রানে আউট হন। জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি পান্তও। তিনি ২৪ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪১ রান করেন। ট্রিস্টান স্টাবস ও শাই হোপ অপরাজিত থেকে দলকে জেতান। ১৫ রানে স্টাবস ও ১১ রানে হোপ অপরাজিত ছিলেন।

৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে লখনউ। এক ম্যাচ বেশি খেলে দ্বিতীয় জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ লাফিয়ে নবম স্থানে উঠেছে দিল্লি।