Indian Army: শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল জওয়ানের হাত, সেনার ‘ডার্ক নাইট এয়ারলিফ্ট’ -এ লাদাখ থেকে দিল্লি এনে মিলল সাফল্য

লাদাখের ফরোয়ার্ড এলাকায় কর্মরত এক জওয়ানের হাত সদ্য কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটি মেশিন চালাতে গিয়ে তাঁর এমন শারীরিক অবস্থা হয়। কাল বিলম্ব করেনি সেনা। মুহূর্তে রাতের অন্ধকারে লাদাখ থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে। দিল্লিতে সেনার রিসার্চ রেফারাল হাসপাতালে ওই গুরুতর অসুস্থ জওয়ানকে নিয়ে আসা হয়। আর সেই হাসপাতালে জওয়ানের সফল অপারেশনের পর তাঁর শরীরে জোড়া লাগানো হয় হাতটি।

ঘটনার কথা শুধুমাত্র শুনেই গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। আর এই ঘটনার শিকার যিনি হয়েছেন ও তাঁকে রক্ষা করতে যাঁরা তৎপর হয়েছেন তাঁদের সাহসিকতা ও মনের জোরের প্রশংসা সকলে করছেন। এছাড়াও আলাদা করে প্রশংসা কোড়াচ্ছেন সেনার চিকিৎসকরা। তাঁদের তৎপরতা ও কর্মদক্ষতার জেরে ফের ওই জওয়ান ফিরে পেয়েছেন তাঁর শরীর থেকে কেটে যাওয়া হাতটি। হাত জোড়া লেগেছে তাঁর শরীরে। সূত্রের খবর এই ঘটনা ১০ এপ্রিলের। তবে রাতারাত যদি লাদাখ থেকে দিল্লির বুকে সেনা জওয়ানকে নিয়ে আসা না যেত, তাহলে এই চিকিৎসার সাফল্য মিলত কি সহজে? এই প্রশ্নের মাঝেই চর্চায় এসেছে বায়ুসেনার তৎপরতা। বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিশেষ বিমানটিতেই ওই জওয়ানকে লাদাখ থেকে নিয়েআসা হয় দিল্লিতে। বায়ুসেনার সুপার হারকিউলিস ওই বিমান লাদাখ থেকে দূর্গম আকাশপথ পার করে দিল্লি আসে রাতেই। রাতারাতি এই স্থানান্তর খুব একটা সহজ ছিল না। তবে সাহসী পদক্ষেপ নিতে পিছপা হয়নি ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘ডার্ক নাইট এয়ারলিফ্ট’ এ বায়ুসেনা ওই জওয়ানকে দিল্লি আনে লাদাখ থেকে। প্রথমে ওই জওয়ানকে আনা হয় লেহতে। সেখান থেকে তাঁকে দিল্লির পালাম এয়ারফোর্স স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে তাঁকে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

( MEA on Israel Iran:দুই দেশে যুদ্ধের হুঙ্কার! ইজরায়েল, ইরানে ভারতীয়দের না যাওয়ার বার্তা দিয়ে অ্যাডভাইসারি জারি কেন্দ্রের)

এই গোটা ঘটনা গত ১০ এপ্রিলের। এরপর ১২ এপ্রিল এই ঘটনার সাফল্যের কথা জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেনা বলছে, এই গোটা পর্বের মাঝে হাতে ছিল ১ ঘণ্টার সময়। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার মধ্যে অসামান্য সমঝোতার জেরে এই সাফল্য হাত এসেছে। এই অপারেশন খুব একটা সহজ অপারেশন ছিল না। তবে তা করে দেখিয়েছেন চিকিৎসকরা। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে গুরুতর অসুস্থ জওয়ানকে ঘিরে এই তৎপরতা কাড়ছে নজর।