রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দু’‌জনের পুলিশ হেফাজত, নেপথ্য কাহিনী ফাঁস

রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত দু’‌জনকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে বেঙ্গালুরু আদালত। এই দু’‌জন আরও কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছেন এনআইএ’‌র গোয়েন্দারা। সেটা নিশ্চিত হতেই তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। কর্নাটক পুলিশের সঠিক ইনপুটই এই দুই জঙ্গিকে ধরতে সাহায্য করেছে বলে জানান কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। গতকাল দিঘা থেকে ধরে এনআইএ তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে বেঙ্গালুরু নিয়ে আসে। বাংলার পুলিশ সাহায্য করেছিল। যার জন্য লিখিত প্রশংসা করেছে এনআইএ।

এদিকে এই দুই জঙ্গিই বেঙ্গালুরু কাফে বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে ধরা যাচ্ছিল না। বারবার জায়গা বদল করছিল তারা। আবার মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বদল করছিল। তাহলে ধরা পড়ার নেপথ্য কাহিনী কী?‌ এই বিষয়ে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, ‘‌এনআইএ এবং কর্নাটক পুলিশ যৌথভাবে সুন্দর কাজ করেছে। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে একজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার পর তার ট্র‌্যাক করা হয়। যেটা তাদের ধরতে সাহায্য করে। আমাদের একজন পুলিশ দারুণ ইনপুট এনআইএ–কে দিয়েছিল। সেটা হল—একজন অভিযুক্ত মাথায় টুপি পরে ছিল। যেটা চেন্নাই থেকে কেনা হয়। সেই দোকানে অভিযুক্ত একটি টেলিফোন নম্বর দেয়। যা তাদের ধরতে সাহায্য করে।’‌

অন্যদিকে এনআইএ এখন তাদের জঙ্গি কার্যকলাপ খুঁজে বের করতে কাজ করছে। এই দুই জঙ্গি বাংলা থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল। কিন্তু ধরা পড়ে গেল বলে জানান কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‌আমরা এখন তদন্ত করছি এই দু’‌জন কোন উদ্দেশে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আর অন্য কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ ছিল তাদের সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শিবামোগা বিস্ফোরণের সঙ্গে এই দু’‌জন জড়িত কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট ইনপুট ছিল তারা এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আর তাতে বাংলাদেশের কেউ সাহায্য করছিল।’‌

আরও পড়ুন:‌ বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ভোটের পরে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

এছাড়া আবদুল মাথিন তহ্বা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব দুই জঙ্গিকে বাংলার নিউ দিঘা থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কর্নাটকের শিবামোগায় একসঙ্গে এরা পড়াশোনা করত। সেই থেকেই দু’‌জনের আলাপ–পরিচয়। তারা নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতার গেস্ট হাউজে ছিল। ২৫ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ মার্চ মাসে কলকাতার ড্রিম গেস্ট হাউজে তারা ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল। সেই সিসিটিভি ফুটেজ মিলেছে। তারপর সেখান থেকে তারা চলে যায়। তারা বাইরে গিয়ে খাবার খেত। নগদ টাকা দিয়ে ঘর বুক করেছিল। আর তারা নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলত। এই তথ্য জানিয়েছেন ওই গেস্ট হাউজের একজন কর্মী।