₹34 Crores Blood Money Collected: সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ভারতীয়কে বাঁচাতে ৩৪ কোটি ‘ব্লাড মানি’ সংগ্রহ মালয়ালিদের!

বিগত ১৮ বছর ধরে সৌদি আরবের জেলে আছেন আবদুল রহিম নামক এক ভারতীয়। কেরলের বাসিন্দা রহিম কর্মসূত্রে সৌদিতে থাতেন। কোঝিকোড়ের সেই রহিমই সৌদিতে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনেছেন। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার একমাত্র উপায় ‘ব্লাড মানি’ দেওয়া। আর তার জন্যেই সারা বিশ্ব জুড়ে মালয়ালিরা তুললেন ৩৪ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, আবদুল রহিম ১৫ বছর বয়সি এক নাবালকের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। সেই নাবালক ‘লাইভ সাপোর্টে’ কোনও ভাবে বেঁচে ছিল। একদিন সেই অবস্থায় নাবালককে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল রহিম। তখন সেই যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। আর তারপরই সেই নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল আবদুল রহিমকে। (আরও পড়ুন: সিকিমে কবে পৌঁছবে ট্রেন? লক্ষ্যে পৌঁছতে বাকি আর মাত্র ৪ ‘রান’, হাতে ওভার বাকি কত)

আরও পড়ুন: ভুয়ো আধার দেখিয়ে কলকাতার ৪টি হোটেলে রাত কাটায় বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে ২ ধৃত!

আরও পড়ুন: ২০১৯-এ জেতা একাধিক আসন হাতছাড়া হতে পারে TMC-র, সমীক্ষায় কোন চমকের ইঙ্গিত?

২০০৬ সালে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই সময় রহিমের বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর। এর দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১৮ সালে এক সৌদি আদালত রহিমকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। পরে সেই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। সেখানেও সেই রায় বহাল ছিল। পরে মৃত নাবালকের পরিবার রহিমকে ৩৪ কোটি ‘ব্লাড মানির’ বিনিময়ে ক্ষমা করে দিতে রাজি হয়। উল্লেখ্য, এই ধরনের ‘ব্লাড মানি’ নিয়ম রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে। সেখানে কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্তকে ইচ্ছে করলে ক্ষমা করে মুক্তি দিতে পারে মৃতের পরিবার। এর বদলে ‘জরিমানা’ দিতে হয় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বন্দিকে। সেই জরিমানাকেই ব্লাড মানি হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: ৪.৫ থেকে ৭% বেতন বৃদ্ধি হবে কর্মীদের, বললেন ভারতের সর্ববৃহৎ IT সংস্থার HR প্রধান)

আরও পড়ুন: RAW-এর হাতে মৃত্যু ২০ পাক জঙ্গির? জল্পনার মাঝে জয়শঙ্কর বললেন,’নিময় মানা যায় না…’

আরও পড়ুন: প্রথম উড়ানে সফল, ৯৭টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ মার্ক ১এ যুদ্ধবিমন কিনতে টেন্ডার সরকারের

এদিকে জানা গিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা ১৬ এপ্রিলের মধ্যে ৩৪ কোটি টাকা ব্লাড মানি জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছে। এদিকে রহিমের পরিবার খুবই গরিব। এই আবহে কোঝিকোড়েতে রহিমের এলাকায় একটি ‘অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করা হয়। সেখান থেকে ‘সেভ আবদুল রহিম’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই স্বচ্ছতার সঙ্গে রহিমের জন্য ব্লাড মানি সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্চের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে গত সপ্তাহ পর্যন্ত মাত্র ৫ কোটি টাকাই সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর গত সপ্তাহে এই অ্যাপের কথা এবং রহিমের গোটা ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর কয়েকদিনের মধ্যেই আরও ২৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করা যায় এই অ্যাপে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নিজে এই ‘ব্লাড মানি’ সংগ্রহের বিষয়টি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।