Baranagar: শরীরের ক্ষত চিহ্ন, ঘরে চাপ রক্ত, বরানগরে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ প্রজন্মের মৃতদেহ

এক পরিবারের তিন প্রজন্মের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বরানগরের নিরঞ্জন সেন নগরে। সকাল হতেই পাশের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। পয়লা বৈশাখের দিন এখন গটনায় সকলে হতবাক।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিরঞ্জন সেন নগরের একটি বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বের হতে থাকায় তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ভিতরে দেখে ঘরের মধ্যে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। অন্য একটি ঘরে পড়ে রয়েছে এক বৃদ্ধ ও তাঁর নাতির দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের গলায়, ঘাড়ে এবং পিঠে ধারাল অস্ত্রের কোপানোর আঘাত রয়েছে। ঘরে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত।

আরও পড়ুন। দুজন নয়, তিনজন জঙ্গি এসেছিল কলকাতায়, কে সেই তিন নম্বর? ঘুম উড়ল বাংলার

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম শঙ্কর হালদার, বাপ্পা হালদার ও বর্ণ হালদার। এঁদের মধ্যে শঙ্কর হালদারের ছেলে বাপ্পা হালদার এবং নাতি বর্ণ হালদার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাপ্পার স্ত্রী অশান্তি করে কয়েক বছর আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বৃদ্ধা বাবা ও ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন বাপ্পা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের রাস্তাঘাটে খুব কমই দেখা যেত। বৃহস্পতিবার তেকে তাঁদের আর বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। শনিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। রবিবার সকালে গন্ধ আরও বাড়ে। বাসিন্দারা বুঝতে পারেন ওই গন্ধ বাপ্পাদের বাড়ি থেকে আসছে। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন। বাড়ির অমতে বিয়ে! দুই পরিবারের খণ্ডযুদ্ধে মৃত ১, নতুন বর সহ আটক ৪

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দুটি কারণ অনুমান করছে। প্রথমত বাবা ও ছেলেকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে। আবার অন্য একটি মত বলছে, চতুর্থ কোনও ব্যক্তি তাদের খুন করে ফেরে গিয়েছে। কিন্তু চতুর্থ ব্যক্তির ঢোকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছ পুলিশ। তদন্তের পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

আরও পড়ুন। মালদা পেরোতেই বন্দে ভারতে পড়ল পাথর, ফিরল আতঙ্ক, ফাটল জানলায়

আরও পড়ুন। ‘গদ্দারের জায়গা’ মন্তব্যের প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ, TMC অফিসে তালা BJP-র