Joe Biden on Bengali new year: নববর্ষে সস্ত্রীক শুভেচ্ছাবার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের

আজ বাঙালির নতুন বছর। সেই উপলক্ষে নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গিয়েছে বাঙালির হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম । আপামর বাঙালিকে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি যিনি বাঙালিকে নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি হলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। বিষয়টি অবাক লাগলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিকে নিজের এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সস্ত্রীক নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।

আরও পড়ুন: আইসক্রিমে কামড় বসানোর আগে বাইডেন বললেন, গাজায় সংঘর্ষ বিরতি ‘আশা করছি…’

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সারা বিশ্বে জড়ো হওয়া সকলকে আমি এবং আমার স্ত্রী জিল বাইডেন উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সকলের জন্য আনন্দ প্রার্থনা করি।’বাংলা নববর্ষে বাঙালির জন্য সস্ত্রীক মার্কিন রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছাজ্ঞাপনে রীতিমতো হতবাক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা। প্রসঙ্গত, এই দিন শুধু বাংলা নববর্ষই নয়, আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য ও দেশে সাড়ম্বরে নববর্ষের উৎসব পালিত হবে। সেগুলি হল – খেমার, লাও, মায়ানমারি, নেপালি, সিংহলি, তামিল, থাই এবং বিষু নববর্ষ। এর জন্যও শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন জো বাইডেন। যদিও এই প্রথম নয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাংলা সহ এই সমস্ত নববর্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।

উল্লেখ্য, জো বাইডেন বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের শিকড় রয়েছে ভারতের মাটিতে। এমনকী শোনা যায়, কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পূর্বপুরুষ। বাইডেন নিজেই এক সময় এ কথা বলেছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর পূর্ব পুরুষদের ভারত যোগের কথা বলেছেন।

২০১৫ সালে অ্যামেরিকায় একটি সাক্ষাৎকারে ফের ভারত যোগের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন বাইডেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন ভারতে এসেছিল, তখন তাঁর পূর্বপুরুষ জর্জ বাইডেন ভারতে এসেছিলেন এবং এখানেই থেকে গিয়েছিলেন। জর্জ ছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন।

যদিও পরে কিংস কলেজের অধ্যাপক টিম উইলসি দাবি করেছিলেন, জর্জ নয়, তাঁর ভাই ক্রিস্টোফার ভারতে এসেছিলেন এবং থেকে গিয়েছিলেন। মুম্বই নয়, চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন ক্রিস্টোফার। আর তাঁর ছেলে হোরাসিও তৎকালীন মাদ্রাজ রেজিমেন্টে সেনা অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।