CPM leader suicide: হাড়োয়ার দাপুটে সিপিএম নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ১১ বছর ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন

একসময় উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার দাপুটে নেতা ছিলেন। লোকসভার আগে সেই সিপিএম নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার রাতে নিজের বাড়ি থেকে সিপিএম নেতা ভুবন মণ্ডলের (৭২) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, একাধিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যা ছিল সিপিএম নেতার। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক পুলিশের। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা যায়, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি দলের সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে আত্মঘাতী CPM নেতা, ২ মাস পর গ্রেফতার মহিলা

বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়ার থানার খাস বালন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের লতার বাগান এলাকার বাসিন্দা ভুবন মণ্ডল। হাড়োয়ার রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়াও, এলাকার উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির একবারের সিপিএমের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও, খাস বারান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ বারের প্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে হাড়োয়ার লোকাল কমিটির সম্পাদক এবং এলাকায় দাপুটে সিপিএম নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন ভুবন মণ্ডল। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেন সিপিএমের নেতা কর্মীরা।

সিপিএম নেতার ছেলে দীপঙ্কর মণ্ডল জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে নার্ভের সমস্যা সহ একাধিক সমস্যার ভুগছিলেন ভুবন বাবু। তারপর থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এমনকী তিনি বহুবার আত্মহত্যা করারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া আলাদাভাবে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। সম্প্রতি তাঁর প্রোস্টেটের সমস্যা দেখা দেয়। কিছুদিন আগে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। এরপর থেকে আবার তাঁর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। সোমবার রাতে ঘর থেকে তার জন্য উদ্ধার হয়। 

জানা গিয়েছে, স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। তিনি একা বাড়িতে থাকতেন। ছেলে মেয়ে আলাদা থাকেন। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গেকে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে হাড়োয়া সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য জব্বার সর্দার জানান, ‘ভুবন বাবু দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের সক্রিয় নেতা ছিলেন। কোনওদিনই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ছিল না। তিনি সবসময় দলের পাশে থেকেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত এবং শোকাহত। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের দলের বড় ক্ষতি হয়েছে। তাঁর পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই।’