CV Ananda Bose: আচার্যই নিয়োগ করতে পারেন উপাচার্যদের, সরকার নয়, বলছে সুপ্রিম কোর্ট, বিবৃতি জারি করল রাজভবন

উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ঘিরে এবার বুধবার সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করল রাজভবন। সেখানে বলা হয়েছে, শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যের কর্তৃত্বকে মেনে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেন রাজ্যপাল। 

দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্যের ব্যাখা দিতে গিয়ে রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে,ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট আবার নিশ্চিত করেছে যে আচার্যই উপাচার্যদের নিয়োগের কর্তৃপক্ষ, সরকার নয়। 

রাজভবনের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে কয়েক সপ্তাহ আগে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিয়েছিল যে রাজ্যপাল ও মুখ্য়মন্ত্রী কফি কাপ নিয়ে মুখোমুখি বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমস্যাগুলি মেটানোর চেষ্টা করবেন। তা মেনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও মুখ্য়মন্ত্রী দুবার দেখা করেছেন। পরবর্তীতে সরকার রাজ্য সহায়তাপ্রাপ্ত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করার জন্য ৩১টি নামের একটা তালিকা দিয়েছে। রাজ্যপাল সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের জন্য তালিকা থেকে ৬টি নাম বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই আসনগুলি শূন্য ছিল। শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবিত অন্য নামগুলো আচার্য প্রত্যাখান করেছেন। কারণ সেগুলি অযোগ্য বা অনুপযুক্ত। 

প্রসঙ্গত উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ বলেছে, রাজ্যের দেওয়া তালিকা থেকে যে ছয় জনকে বাছা হয়েছে তাঁদের অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই ৬জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক সপ্তাহ যাওয়ার আগেই উপাচার্য নিয়োগে শীলমোহর দিলেন তিনি।

আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই ছটি ছাড়া রাজ্যের অধীনে থাকা বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে। রাজ্য সরকারকে রাজ্যপালের কাছে বাছাই নামের তালিকা পাঠাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত মনে করছে, রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বেছে নেবেন রাজ্যপাল। কার্যত আচার্যই যে উপাচার্য নিয়োগের কর্তা সেটাই নিশ্চিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

এদিকে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেগুলি হল, যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। রাজ্যের আর পাঁচ বিদ্যালয়েও উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এই পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় হল ও তাদের অস্থায়ী উপাচার্য হলেন যথাক্রমে গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রেম পোদ্দার, সাধু রাম সিএইএনডি মুর্মু ইউনিভার্সিটি ঝাড়গ্রামের অধ্যাপক অমিয় কুমার পাণ্ডা, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ইউনিভার্সিটি (ঠাকুরনগর )-র অধ্যাপকর তপন কুমার, বিশ্বাসরানি রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটি – অধ্যাপক আশুতোষ ঘোষ।