Mamata in Assam: অসমে বিধানসভা নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী, লোকসভা ভোটের প্রচারে ইঙ্গিত মমতার

বাংলার মতো অসমেও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালে। সেই বিধানসভা নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন শিলচরের জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘তৃণমূল এবার অসমে চারটি আসনে লড়ছে। এ তো সবে ট্রায়াল দেখছেন। ট্রায়াল দিতে এসেছি। ফাইনাল খেলা এখনও বাকি আছে। আমি আবার আসব।’ কবে আসবেন? কেন আসবেন? তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। শিলচরে এবার তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রাধেশ্যাম বিশ্বাস। তাঁর সমর্থনে ভোট চেয়ে মমতা বলেন, ‘আপনারা আমাকে জেতান। আমার প্রার্থী রাধেশ্যাম ও অন্যান্যদের জেতান। আমি কথা দিচ্ছি, বিধানসভায় সব আসনে তৃণমূল প্রার্থী দেবে।’

লোকসভা নির্বাচনে অসমে শিলচর ছাড়াও আরও তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বরপেটায় আবুল কালাম আজাদ, লখিমপুরে ঘনকান্ত চুতিয়া এবং কোকড়াঝাড়ে গৌরীশঙ্কর শরণিয়াকে প্রার্থী করেছে জোড়াফুল। তাঁদের সমর্থনেও এদিন প্রচার করেন মমতা।

আরও পড়ুন। এবার ভোট ভয়ঙ্কর!… বাঙালি হিন্দু আর মুসলিম এক হলে…’ অসমে নয়া অঙ্ক বললেন মমতা

সুস্মিতা দেব প্রসঙ্গ

প্রচারে সুস্মিতা দেবের প্রসঙ্গেও টানেন মমতা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব। তিনি বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘এখানকার মেয়ে সুস্মিতা এখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।ওকে আমরা রাজ্যসভায় পাঠিয়েছি। এটা আপনাদের গর্ব।’

এনআরসি প্রসঙ্গ

প্রচারে এদিন এনআরসি প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন,’এনআরসিতে এখানে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, আমি আপনাদের পাশে ছিলাম। আমি কলকাতায় রোজ মিছিল করতাম। বিজেপির অত্যাচারের কাহিনি আমি জানি। দেশ জুড়ে অনেক আগুন ওরা জ্বালিয়েছে, তাণ্ডব চালিয়েছে।’ তৃণমূল নেত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা জিতলে এনআরসি হবে না, সিএএ সহবে না, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হবে না। আমরা সে সব তুলে দেব। অসমে যাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রয়েছে তাঁদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেব। ‘

আরও পড়ুন। ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস, ‘‌দিদির ১০টি শপথ’‌ পূরণ ইন্ডিয়া জোটের সরকার গড়েই

কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প

মমতা এদিন প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার কথা তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে। বাংলায় তিনি কী কী করেছেন তাঁর খতিয়ান তুলে ধরেন শিলচরের মানুষের কাছে।