Bus Conductor: অপমানের ১৮ বছর পার, আদালতে ‘বিচার’ পেলেন বাস কন্ডাক্টর, ফিরছে আগের বেতন

উত্তমকুমার ঠাকুর। পেশায় বাস কন্ডাক্টর। ক্যালকাটা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাস কন্ডাক্টর তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ২২৫ টাকার হিসেব দিতে পারেননি। এরপর তাঁর চাকরিজীবনে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। কম বেতনের জ্বালা দিনের পর দিন তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে। দিনের পর দিন ধরে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করার সবরকম চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তিনি পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। 

তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পুরনো বেতন কাঠামোয় তাকে যাতে ফেরানো হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি যে সুযোগ সুবিধাগুলি পাচ্ছিলেন না সেগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দেয়। 

আসলে এই ঘটনা সেই ২০০৫ সালে। এক যাত্রীকে খুচরো দেওয়ার জন্য তিনি বাস চালকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন। সেদিনই মাঝপথে সিএসটিসির আধিকারিকরা বাসে ওঠেন। তারা দেখেন কন্ডাক্টরের ব্যাগে অতিরিক্ত ২২৫ টাকা রয়েছে। তারা মোটামুটি এই সিদ্ধান্তে আসেন যে কন্ডাক্টর কোথাও অনিয়ম করেছেন। 

কন্ডাক্টর এরপর যাবতীয় কথা জানান। কিন্তু তারপরেও তারা মানতে চাননি বিষয়টি। তারপর তার বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়। তার অন্য়ান্য সুবিধা রদ করা হয়। তবে নানাভাবে তিনি সুবিধা ও বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নানা আবেদন করেন তাঁর অফিসের কাছে। কিন্তু তারপরেও তার অফিস তাকে ফেরত দেওয়া হয়নি তার সুবিধা।

কিন্তু এরপর আদালতে যান ওই ব্যক্তি। মামলা চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সেই মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। বিচারপতির সেই নির্দেশে খুশি হয়েছেন কন্ডাক্টর। কিন্তু এই যে এতগুলো বছর চলে গেল যন্ত্রণার মধ্য়ে দিয়ে সেটা ফিরিয়ে দেবে কে? 

উত্তমের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আইন না মেনেই তার বেতন কেটে নেওয়া হয়েছিল। এটা একেবারেই উচিত হয়নি। তবে পরিবহণ দফতরের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, উত্তমের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তা নিয়ম মেনেই করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতে বিচার পেলেন ওই কন্ডাক্টর এটাই স্বস্তির।