প্রিজন ভ্যানের মধ্যে মহিলা বন্দীকে ‘গণধর্ষণ’, BJP রাজ্য বলে চুপ কমিশন? তোপ TMC-র

ন্যক্কারজনক ঘটনা বিজেপি শাসিত হরিয়ানায়। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের মধ্যেই এক মহিলা বন্দীকে গণধর্ষণ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে থাকা ওই মহিলা বন্দীকে দুই বন্দী মিলে গণধর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার জিন্দে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব রয়েছে তৃণমূল থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধীরা। এমন ধরনের গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে কেন মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন চুপ রয়েছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

আরও পড়ুনঃ ‘গণধর্ষণ’ করে ব্ল্যাকমেলিং! যোগীরাজ্যে গাছ থেকে উদ্ধার দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে শুক্রবার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বক্তব্যের ভিত্তিতে দুই পুরুষ বন্দীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মহিলা বন্দি জিন্দ সিভিল লাইনস থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। মহিলার অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছিল যখন তাঁকে এবং অন্য দুই পুরুষ বন্দীকে জিন্দ থেকে রোহতকের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (পিজিআইএমএস) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। 

মহিলার অভিযোগ, পুরুষ বন্দীরা জিন্দ জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। দুজনে তাঁকে ঠাণ্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিল। এরপরে বেহুঁশ হয়ে পড়েন মহিলা বন্দী। পরে পুলিশ অফিসাররা যখন কিছু কাগজপত্র নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তখন ভ্যানের মধ্যে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জিন্দ সিভিল লাইনস থানার ওসি সুখবীর সিং জানান, ঘটনায় ‘জিরো এফআইআর’ করা হয়েছে। তা রোহতক পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, জিরো এফআইআরের মানে হল- ঘটনা যেখানেই ঘটুক না কেন যে কোনও থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা যেতে পারে এবং পরে তা যথাযথ থানায় স্থানান্তর করা যেতে পারে।

ঘটনাটি জানাজানি হতেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, বাংলায় কোনও ছোটখাট ঘটনা হলেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশন তাৎপরতা দেখায়। অথচ বিজেপি শাসিত রাজ্যে এত বড় ঘটনার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছে এই দুই সংস্থা। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় কমিশনকে চিঠি দিয়ে দুই সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর প্রশ্ন বিজেপি শাসনে প্রিজন ভ্যানে থাকা মহিলা বন্দীরাও কি নিরাপদ নন?