Kolkata Loadshedding: সন্ধ্যা নামতেই লোডশেডিং কলকাতায়, বড় নির্দেশ মন্ত্রীর, এসি থাকলে জানান! ফিরছে বাম জমানার স্মৃতি

একে তো টগবগ করে ফুটছে বাংলা। তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই চড়ছে। দিনভর সূর্য্যিমামা একেবারে প্রবল তেজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বাংলার উপর। আর সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একটু যে ফ্য়ানের তলায় বসবেন তার উপায় নেই। সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোডশেডিং। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। 

এদিকে বাংলার অন্য়ান্য জেলাগুলিতেও একই ছবি। দিনের বিভিন্ন সময়ে কারেন্ট থাকছে না। ভোট বাজারে ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ। 

সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখানে সিইএসসির কর্তাদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে কোথাও কোনও ফল্ট বা যান্ত্রিক সমস্যা হলে তা মেরামত করার সময় জেনারেটর ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ যতক্ষণ সেই মেরামতি চলবে ততক্ষণ জেনারেটরের মাধ্য়মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। 

এদিকে গরম পড়তেই যেভাবে লোডশেডিং শুরু হয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন বিদ্যুৎ দফতেরর কর্তারা। 

তবে বিদ্যুৎ দফতরের তরফে বলা হয়েছে যে সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা দেওয়ার জন্য় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  কোথাও যদি যান্ত্রিক গোলোযোগ হয় সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রাহকদের এসএমএসের মাধ্য়মে জানানো ও যান্ত্রিক গোলোযোগ মেরামতের সময়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

মোবাইল রিপেয়ারিং ভ্যান ও লোকসংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, এসি লাগালে গ্রাহকদের জানাতে হবে বিদ্যুৎ দফতরকে। সেক্ষেত্রে বাড়তি লোড লাগলে তা দেওয়া হবে। বার বার বলা সত্ত্বেও অনেকে এই বাড়তি লোডের ব্যাপারে জানাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এর জেরে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। 

সূত্রের খবর, কলকাতায় পাড়ায় পাড়ায় একের পর এক বহুতল মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে এসি। কিন্তু বাড়তি লোডের ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রে তথ্য় নেই দফতরের কাছে। ফলে যা হওয়ার সেটাই হচ্ছে। সন্ধ্য়া হতেই এসি চালাচ্ছেন বাসি্ন্দারা। আর তারপরই অতিরিক্ত লোড সামলানো যাচ্ছে না। 

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ নাগাদ দমদম, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় কারেন্ট অফ হয়ে যায়। গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। সামনেই ভোট। তার আগে এই পরিস্থিতির জেরে চিন্তায় শাসকদল। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে বাম জমানার কথা। এদিকে সিইএসসির তরফে বড় জেনারেটরের ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু এদিন দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংয়ের জেরে বাসিন্দাদের মধ্য়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে।